রাজ্যে ট্যাব কেলেঙ্কারীর মতই, আবাস যোজনার টাকা ঢুকল অন্যের ব্যাংক একাউন্টে।।

Spread the love

  রবীন্দ্রনাথ মন্ডল ,কাকদ্বীপ : রাজ্যের স্কুলের ট্যাব কেলেঙ্কারীর পর এবার আবাস যোজনার টাকা ঢুকল অন্যের ব্যাংক একাউন্টে!আবার কি আবার কেঁচো খুঁড়তে কেউটে? ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু হলেও ,বিরোধীরা আক্রমণ শানানো শুরু করে দিয়েছে।

নামখানার মৌসুনিতে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় প্রকৃত উপভোক্তার টাকা ঢুকল অন্যের অ্যাকাউন্টে। তিন ধাপে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ গ্রামের অন্য এক মহিলার বিরুদ্ধে। অথচ আবাস যোজনার পোর্টালে টাকা ঢোকার সব নথি দেখাচ্ছে বঞ্চিত উপভোক্তার নামে। বঞ্চিত উপভোক্তার দাবি, তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য কাটমানি খেয়ে অন্যের অ্যাকাউন্টে এক টাকা ঢুকিয়েছে। বঞ্চিত উপভোক্তা নামখানার বিডিও, কাকদ্বীপের মহকুমাশাসক ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে ব্লক প্রশাসন। মৌসুনির বাগডাঙার বাসিন্দা আরতি মাইতি।

বঞ্চিত পরিবারের সদস্য

গত ২০২০-‌২১ অর্থ বর্ষে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় আরতির নাম বিবেচিত হয়। কিন্তু তৎকালীন স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য প্রকৃত উপভোক্তা আরতি মাইতি না দিয়ে গ্রামের অন্য এক আরতি মাইতির অ্যাকাউন্টে এই টাকা ঢোকায় বলে অভিযোগ। যে আরতি মাইতি আবাসের টাকা পেয়েছেন তাঁর নাম তালিকায় ছিল না। তবে তিনি টাকা পেয়ে বাড়ি করেছেন। কিন্তু সরকারি পোর্টালে বঞ্চিত আরতি মাইতির সমস্ত নথি থাকা সত্ত্বেও কি করে অন্য আরতি মাইতির অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকল তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে।

আবাস যোজনার টাকা প্রাপক আরতি মাইতি ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। স্থানীয় মৌসুনি পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান আব্দুল কাইউম খান ঘটনার কথা স্বীকার করে জানিয়েছেন, অনিচ্ছাকৃত ভুল। নামখানার বিডিও অমিত সাহু ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।


Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *