মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস বুধবার ঘোষণা করেন রেল দুর্ঘটনায় মৃতের পরিবারের সদস্যদের ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। আহতদের চিকিৎসার ভার নেবে সরকার।
জলগাঁওয়ে ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১২ জন। কেন রেললাইনে নেমে দাঁড়ান যাত্রীরা ,তা এখনো জানা যায়নি। চেন টানা নাকি আগুনের গুজব কোনটা সত্যি তা যাচাই করে দেখছে তদন্তকারী দল।
পুষ্পক এক্সপ্রেস থেকে পাশের লাইনে নেমে গিয়েছিলেন যাত্রীরা হুড়মুড়িয়ে , একের পর এক। তখনই তাদের চাপা দিয়ে চলে যায় কর্নাটক এক্সপ্রেস। এই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ১২ জন। আহত আরো পাঁচজন। জলগাঁওয়ের জেলাশাসক আয়ুষ প্রসাদ জানিয়েছেন , ট্রেনে আগুন লেগেছে বলে গুজব ছড়িয়ে ছিল। সেই কারণে হয়তো প্রাণ বাঁচানোর জন্য চেন টেনে ট্রেন থামিয়ে ,পাশের লাইনে নেমে পড়েছিলেন বেশ কিছু যাত্রী। যদিও এই তথ্যের সত্যতা এখনো যাচাই করা যায়নি। মৃতদের পরিবারকে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবেন ঘোষণা করেছেন।
পরধারে স্টেশনের কাছে ভুঁয়ো ফায়ার অ্যালার্ম বেজে ওঠে পুষ্পক এক্সপ্রেসে। অনেক যাত্রী মনে করেন ট্রেনে হয়তো আগুন লেগেছে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল, ট্রেনের চেন টেনে ট্রেন থামিয়ে তারা নেমে যাবেন। সেই সময়েই উল্টোদিকের লাইন দিয়ে আসে কর্নাটক এক্সপ্রেস। দুর্ভাগ্যজনকভাবে যাত্রীরা চাপা পড়ে যায়, কর্নাটক এক্সপ্রেসের নিচে। ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।