প্রতি ট্রিপে ১২ লাখ আয় , ১৭ কোটি টাকার সোনা পাচারে গ্রেপ্তার অভিনেত্রী

Spread the love

ন্যাশনাল ডেস্ক:রন্যা রাও আসলে ডিজিপি রামচন্দ্র রাওয়ের দ্বিতীয় পক্ষের সন্তান । প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পরে , দ্বিতীয় বিবাহ করেন রামচন্দ্র রাও , আর দ্বিতীয় স্ত্রীর কন্যা হলো রণ্যা রাও । প্রবীণ আইপিএস অফিসারের মেয়ে কন্নড় ছবির অভিনেত্রী রন্যা রাও । সোনা পাচারকান্ডে ১৫ কেজি সোনা সহ বেঙ্গালুরুর বিমানবন্দরে টাকা তাকে সোমবার রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়। এই ঘটনায় মানসিকভাবে আহত এবং বিস্ময় প্রকাশ করেছেন কর্নাটকের বর্তমান ডিজিপি এবং রন্যা রাও এর বাবা রামচন্দ্র রাও । তিনি প্রকাশ্যেই সচেতনভাবে নিজেকে এই ঘটনা থেকে দূরে রাখতে চেয়েছেন । মেয়ে সোনা পাচার কান্ডে গ্রেপ্তার পর এই প্রথম মুখ খোলেন বাবা রামচন্দ্র রাও।

সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ্যে তিনি জানান , আইন তার কাজ করবে , আমার কর্মজীবনে এতদিন কোনো কালো দাগ লাগেনি ও কোনও কলঙ্কের ছাপ ও নেই , এখনও তার ব্যতিক্রম হবেনা , তিনি আরও জানান সংবাদমাধ্যমে মেয়ের গ্রেফতারির খবর শুনে আমিও চমকে গেছিলাম এবং মানসিক ভাবে আহত হয়েছিলাম । আমি এই বিষয়ে কিছুই জানতাম না , তাই আমি এই বিষয়ে বেশি কিছু বলতেও পারবনা । রন্যা আমাদের সাথে থাকেনা , স্বামীর সঙ্গে আলাদা থাকে । তাঁদের মধ্যে হয়তো কোনো পারিবারিক সমস্যা হয়েছে ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে , রন্যা রাও নিজের উরুতে ক্রেপ ব্যান্ডেজ দিয়ে শক্ত করে সোনার বার বেঁধে রাখতেন যাতে কেও দেখতে না পায় । কেমপেগোরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গত সোমবার রাতে বেঙ্গালুরু পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে ।

পুলিশ এই বিষয়ে তদন্ত চালাচ্ছে যে এই বিষয়ে রন্যা রাও একাই যুক্ত ছিল নাকি আরো অনেকেই এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিল । তদন্তে উঠে এসেছে মূলত দুবাই থেকে ভারতে এই সোনা পাচার হত। সূত্র জানায় গিয়েছে গত ১৫ দিনে ৪ বার দুবাই গেছে অভিনেত্রী রন্যা রাও আর ঠিক এই বিষয়টাই নজরকারে পুলিশের । আর তার ঠিক পরেই পরিকল্পনা মাফিক বিমানবন্দরে তাকে আটক করে তল্লাশি চালানো হয় । জানা গিয়েছে সোনা পাচার কান্ডের এই প্রতি ট্রিপে তার আয় ছিল ১২ লক্ষ টাকা এবং রন্যার কাছ থেকে পাওয়া সোনার মোট মূল্য ছিল ১৭ কোটি টাকা।


Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *