বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে স্বামীকে খুনের অভিযোগ উঠল গৃহবধূর বিরুদ্ধে। কাটোয়া থানার আমূল গ্রামের দাসপাড়ার ঘটনা। পুলিশ মহাদেব দাসের(৩৩) মৃতদেহ তার ঘর থেকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। নিহত মহাদেব দাসের মাথার পিছনে ও কানের পাশে বেশ কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন আছে। গ্রামের আত্মীয় পরিজনদের দাবি মহাদেবকে তার স্ত্রী মিতা দাস লোক দিয়ে খুন করিয়েছে। কারণ মহাদেব স্ত্রীর সঙ্গে একই ঘরে শুয়ে ছিল অথচ তার স্ত্রী জানেনা কীভাবে মহাদেবের মৃত্যু হল? আমরা সকালে গিয়ে দেখি মহাদেবের নিথর দেহ বিছানায় পড়ে আছে। মহাদেবের মাথার পিছনে এবং কানের পাশে আঘাতগুলো কীভাবে এল? বছর ছয়েক আগে মঙ্গলকোট থানার বনকাপাসি গ্রামের বাসিন্দা মিতা দাসের সঙ্গে মহাদেব দাসের বিয়ে হয়। মহাদেবের এক আত্মীয় কেষ্ট দাস বলেন, কিছুদিন যাবত মিতা দাস অন্য এক পুরুষের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে বলে মহাদেব তাদের জানিয়েছিল। দম্পতির মধ্যে প্রায় অশান্তি হত। আমাদের অনুমান শনিবার রাতে বাইরে থেকে লোক ডেকে এনে মহাদেবকে খুন করিয়েছে মিতা দাস এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছে আত্মীয়রা।পুলিশ সূত্রে জানা যায় মহাদেবের মৃতদেহ ঘরের মধ্যে বিচানায় পড়ে ছিল।মাথার পিছনে ও কানের পাশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মহাদেব দাসের ভাই জয়দেব বলেন, বৌদি সহ তার বাবার বিরুদ্ধে কাটোয়া থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করব। মিতা দাসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কাটোয়া থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।