গত বৃহস্পতিবার গুলিতে ঝাঁঝরা হয়েছিলেন ইংরেজবাজার পুরসভার কাউন্সিলর দুলাল সরকার। কী কারণে খুন তা এখনো বুঝে উঠতে পারেনি পুলিশ। শুরুতে শোনা যাচ্ছিল জমি অথবা ব্যবসা সংক্রান্ত বিবাদ। কাউন্সিলরের স্ত্রীর কোথায় বারবার উঠে এসেছে প্রভাবশালী যোগ এবং বহুদিনের প্ল্যানের কথা। মঙ্গলবার রাতে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হয় প্রাক্তন কাউন্সিলর নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিকে। প্রায় 18 ঘণ্টার বেশি জিজ্ঞাসাবাদে পর গ্রেফতার করা হয় ইংলিশ বাজারের তৃণমূল টাউন সভাপতি নরেন্দ্রনাথকে। যদিও মালদা বলছে, নরেন্দ্রনাথ এবং দুলাল বাল্যকালের বন্ধু। তবে রাজনীতি আর বন্ধু দেখে নাকি?
গ্রেফতারের পর নরেন্দ্রনাথ জানিয়েছেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। নেপথে রয়েছে বড় মাথা। অর্থাৎ নিহত দুলাল সরকারের স্ত্রীর কথাই নরেন্দ্রনাথের মুখে।
এই নিয়ে কথা বলতে ছাড়েননি বিরোধীরা। প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী আগেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। তৃণমূলকে জন্মলগ্ন থেকে দেখেছেন। অধীর বাবু কয়েকদিন আগে সাংবাদিক বৈঠকে বলেছিলেন, বিগত বেশ কয়েক বছর তৃণমূল নেতা খুনে অভিযুক্ত তৃণমূলেরই প্রোমোটারকাজ। তৃণমূলী তৃণমূলের অভিযুক্ত হওয়ায় পুলিশ ব্যবস্থা নিতে পারছে না। সেই কথাই যেন সত্যি হল নরেন্দ্রনাথের গ্রেফতারীর পর। অধীর চৌধুরী বুধে জানান, খুনের সংস্কৃতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি করা। এছাড়াও তৃণমূলই যে তৃণমূলের কাঁটা তা আরও একবার বুঝিয়ে দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি।