ওয়েস্ট ইন্ডিজের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে আসন্ন টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রথম দুই ম্যাচ খেলেই ক্যারিবিয়ান জার্সিতে শেষবারের মতো মাঠে নামবেন তিনি। কিংস্টনের সাবিনা পার্কেই এই বিদায় মুহূর্তটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে তাঁর জন্য।
রাসেলের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার দীর্ঘ এবং বৈচিত্র্যময়। গত এক যুগের বেশি সময় ধরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলে নিজেকে একজন দুর্দান্ত ফিনিশার এবং ভয়ংকর বোলার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি। যদিও টেস্ট ক্যারিয়ার ছিল সীমিত, কিন্তু ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তাঁর অবদান অসাধারণ। ২০১২ এবং ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ে দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন রাসেল, যিনি দ্রুত রান তোলা এবং গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্রেকথ্রু দেওয়ার জন্য পরিচিত ছিলেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বললেও রাসেল পুরোপুরি ক্রিকেটকে বিদায় জানাচ্ছেন না। বরং তিনি এখন তার মনোযোগ দেবেন বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে, যেখানে ইতিমধ্যেই তাঁর জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া। আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্স, সিপিএলে জ্যামাইকা তালাওয়াস সহ একাধিক লিগে রাসেলকে নিয়মিত দেখা যাবে।
নিজের অবসরের ঘোষণা দিতে গিয়ে রাসেল বলেন, “ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলা ছিল আমার জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অর্জন। আমি গর্বিত যে আমার শেষ ম্যাচটি নিজের দেশ, নিজের শহর এবং পরিবারের সামনে খেলতে পারব।”
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোচ ড্যারেন স্যামি তাকে একজন প্রকৃত লড়াকু এবং নিঃস্বার্থ ক্রিকেটার হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যিনি প্রতিবারই মাঠে নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। রাসেলের বিদায়ে ক্যারিবিয়ান দলে একটি বড় শূন্যতা তৈরি হবে বলেই মনে করছেন ক্রিকেট বিশ্লেষকরা।
যদিও আন্দ্রে রাসেলের ব্যাট আর বল জাতীয় দলের হয়ে দেখা যাবে না, তবে বিশ্বজুড়ে লিগ গুলোতে তাঁর উপস্থিতি আরও কয়েক বছর উপভোগ করবে ক্রিকেট বিশ্ব। তাঁর ছক্কা আর গতি এখন শুধু ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটেই দেখা যাবে।