স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, গত পাঁচমাস আগে বলাগড়ের রুকেসপুরের বাসিন্দা পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার সুভাষ সাঁতরার সঙ্গে বিয়ে হয় মগড়ার বিশপাড়ার রিয়া দাসের(২৯)। আজ সকাল থেকে রিয়ার ঘরের দরজা বন্ধ থাকায় ডাকাডাকি শুরু করে তার স্বামী ও শাশুড়ি। দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকির পরেও তার কোন সারা শব্দ না পেয়ে রিয়ার বাপের বাড়ির লোকজনকে ফোন করা হয়। এরপরেই বাপের বাড়ির লোকজন এসে দরজা ভেঙে দেখে ঘরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে ঝুলছে বধূ। এরপরই তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে জিরাট হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয় বলাগর থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। মেয়ের মৃত্যুর খবর শুনে কান্নায় ভেঙে পড়ে বধূর বাপের বাড়ির লোকজন।
রিয়ার মাসির দাবি, আমাদের মেয়েকে এরা মরতে বাধ্য করেছে। দীর্ঘদিন ধরেই রিয়ার উপর চলতো মানসিক অত্যাচার এবং সন্দেহ করতো স্বামী ও শাশুড়ি। তা নিয়ে সাংসারিক অশান্তিও চলছিল। কেন কেউ হঠাৎ করে মরতে যাবে। বাড়িতে মা আর ছেলে ছাড়া কেউ নেই। আমাদের প্রশ্ন ? দীর্ঘক্ষণ ধরে কেন দরজা বন্ধ ছিল? কেন প্রতিবেশীদের ডেকে দরজা ভেঙে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়নি ? আগেই যদি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হত তাহলে মেয়েটা হয়তো বেঁচে যেত।
যদিও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে ওঠাও অভিযোগ অস্বীকার করে রিয়ার শাশুড়ি শোভা সাঁতরার দাবি , বিয়ের পর থেকেই সাংসারিক অশান্তি লেগে থাকত দুজনের। গতকাল বৌমা কুন্তীঘাটের কারখানায় কাজে গিয়েছিল। বাড়িতে দীর্ঘক্ষণ ফিরছে না দেখে রাতে ছেলে ফোন করে। বৌমা জানায় তার ফোনে রিচার্জ ছিল না তাই সে ফোন করতে পারেনি। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বচসা হয়। আজ সকালে ছেলে মাঠে গিয়েছিল।
হুগলী গ্রামীন পুলিশের DSP ক্রাইম অভিজিৎ সিনহা মহাপাত্র জানান, একটা অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আগামীকাল সোমবার ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দেহ ময়নাতদন্ত হবে।
আজ সন্ধ্যার পর মৃতবধূর বাবা দীপক দাস বলাগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।পনের জন্য চাপ দেওয়া হত,মেয়েকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হতো।