কেরলে বা গোয়াতে ক্রুজে পর্যটকদের ভ্রমণের ব্যবস্থা থাকলেও নদীপথে ক্রুজের ব্যবহার ভারতে এর আগে কখনো হয়নি। এই প্রথম গঙ্গা নদী তথা হুগলি নদী কে কেন্দ্র করে সেই সম্ভাবনাই গড়ে উঠছে। গঙ্গা নদীর দুই ধারের বিভিন্ন প্রাচীন জনপদ, তাদের ঐতিহ্য, ইতিহাস এবং নানা বৈচিত্র দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে। ফরাসি, ওলন্দাজ, পর্তুগিজ আমলের বিভিন্ন দ্রষ্টব্য ছাড়াও গঙ্গার বিভিন্ন ঘাট মুর্শিদাবাদের ইতিহাস থেকে শান্তিপুরের তাঁত। সবই উঠে আসছে এই জলপথ ভ্রমণে। তবে সাধারণ ভেসেলের থেকে এই ভ্রমণ অনেক বেশি খরচ সাপেক্ষ। সূত্রের খবর পাঁচতারা হোটেলের যাবতীয় সুখ স্বাচ্ছন্দ ছাড়াও বিভিন্ন খাবারের সুবিধাসহ কেবিন ভাড়া দিনে ন্যূনতম ২৫ হাজার টাকা। “ইনল্যান্ড ওয়াটার ওয়েজ অথরিটি অফ ইন্ডিয়া”র সহযোগিতায় গত বছর জানুয়ারি মাসে ক্রুজে গঙ্গাবিলাস যাত্রার সূচনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বারানসি থেকে বিহার পশ্চিমবঙ্গ বাংলাদেশ হয়ে অসমের ডিব্রুগড় পর্যন্ত নদীপথ জুড়ে ব্যাপ্ত এই সফর প্রায় চার হাজার কিলোমিটারের। দুটি দেশ ছাড়াও ২৭ টি নদী পথ ও পাঁচটি রাজ্য সফর করা যাবে মাত্র ৫০ থেকে ৫১ দিনে। বিদেশি পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে ক্রুজের রেস্তোরায় খাবার ও তৈরিতে আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে হবে । তবে এখন একাধিক সংস্থা মাঝারি খরচে ক্রুজ ও ভেসেল পরিষেবা শুরু করেছে অন্তর্দেশীয় নদী পরিবহন পর্ষদের তৎপরতায়। গঙ্গার বোটানিক্যাল গার্ডেন সংলগ্ন যেটি ছাড়াও আরো কয়েকটি জেটি থেকে প্রেসেল পরিষেবা চলছে সেখান থেকে মুর্শিদাবাদ বারানসি গঙ্গাসাগর চন্দননগর সহ নানা গন্তব্যে পর্যটকদের বিভিন্ন সময়ে নিয়ে যাওয়া হয়ে থাকে।
ক্রুজে বাড়বে পর্যটন?
