বীরেন্দ্র সেহওয়াগের দুই ছেলে, আর্যবীর ও বেদান্ত সেহওয়াগ, ২০২৫ সালের দিল্লি প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল)–এর নিলামে অংশগ্রহণ করে সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছেন। ডিপিএল এখন দিল্লির অন্যতম জনপ্রিয় এবং প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট লিগ হয়ে উঠেছে, যেখানে বহু তরুণ প্রতিভাবান খেলোয়াড় নিজেকে তুলে ধরার সুযোগ পান। সেহওয়াগের ছেলেরা এই লিগে অংশ নিয়ে নতুন প্রজন্মের মধ্যে ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ এবং প্রতিযোগিতার প্রতিফলন ঘটিয়েছে।
নিলামে আর্যবীর সেহওয়াগের প্রতি বিভিন্ন দলের আগ্রহ ছিল চোখে পড়ার মতো। দক্ষিণ দিল্লি সুপারস্টারজ দল তাঁকে ১০ লক্ষ টাকায় কিনে নেয়। এটি স্থানীয় লিগের জন্য একটি বড় অঙ্ক, এবং এটা বোঝায় যে তরুণ আর্যবীর শুধু বাবার নামেই নয়, নিজের খেলার দক্ষতার জন্যও নজরে এসেছেন। অনূর্ধ্ব–১৯ পর্যায়ে তিনি দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন, এমনকি মেঘালয়ের বিরুদ্ধে ২৯৭ রানের ইনিংস খেলার পর থেকেই তাঁর প্রতি আগ্রহ বাড়ে।
অন্যদিকে, ছোট ভাই বেদান্ত সেহওয়াগ সি ক্যাটাগরিতে নথিভুক্ত হলেও, তাঁকে কোনো দল কেনেনি। ১৫ বছর বয়সী এই অফস্পিনার হয়তো এখনও নিজেকে পুরোপুরি প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি, অথবা অন্য খেলোয়াড়দের সঙ্গে তুলনায় কম অভিজ্ঞতায় পিছিয়ে গেছেন। তবে এটি তাঁর জন্য হতাশার বিষয় নয়, কারণ অনেক তরুণ খেলোয়াড় প্রথমে নিলামে বিক্রি না হলেও পরে দলে সুযোগ পান বা ভবিষ্যতে আরও ভালোভাবে প্রস্তুত হয়ে ফিরে আসেন।
বীরেন্দ্র সেহওয়াগের ছেলে হওয়া মানেই স্বাভাবিকভাবেই মিডিয়ার নজর তাঁদের উপর থাকে। কিন্তু ক্রিকেটে প্রতিষ্ঠা পেতে হলে শুধুই পারিবারিক পরিচয় নয়, মাঠে নিজেকে প্রমাণ করতে হয়। এই দৃষ্টিকোণ থেকেই আর্যবীরের নিলামে সাফল্য তাঁর ভবিষ্যতের সম্ভাবনাকে উজ্জ্বল করেছে, যেখানে বেদান্তের সামনে এখন প্রস্তুতি ও পরিশ্রমের দীর্ঘ পথ। দুই ভাইয়ের এই যাত্রা প্রমাণ করে, ক্রিকেট এখন শুধু খ্যাতির নয়, প্রতিভা ও পরিশ্রমের লড়াই।
তাঁদের ভবিষ্যৎ কীভাবে এগোয়, তা নির্ভর করবে মাঠে তাঁদের ধারাবাহিক পারফরম্যান্স, শৃঙ্খলা এবং উন্নতির প্রতি আন্তরিকতার উপর। তবে এটুকু নিশ্চিতভাবে বলা যায়—ক্রিকেটপ্রেমীরা সেহওয়াগ পরিবারের নতুন প্রজন্মকে ঘিরে বেশ উত্তেজিত।