চাঞ্চল্যকর নৃশংস হত্যাকাণ্ড। মাস ঘুরতে না ঘুরতেই ফের ট্রলি কাণ্ড এ রাজ্যে। ঠিক যেন কুমারটুলি কাণ্ড ফিরে এলো। খুন করে একই ভাবে ট্রলিতে ভরা হল দেহ।
রাজস্থানের বাসিন্দা ছিলেন কাপড় ব্যবসায়ী ভাগারাম সিং। তারই আত্মীয় (ভাই পরিচয়) কৃষ্ণপাল সিং এবং করণ সিং। কাপড়ের একসঙ্গে ব্যবসা করতেন। করণ এবং কৃষ্ণ পালের কাছে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা ধার হয়ে গিয়েছিল ভাগারামের। বউবাজারের কাছে থাকতেন ভাগারাম। একজনের ভাড়া বাড়িতে থাকতেন কৃষ্ণ ও করণ। মঙ্গলবার রাতে ঘাড়ের থেকে ৬৫ হাজার টাকা নগদ নিয়ে গিরিশ পার্কে কৃষ্ণ করনের বাড়ি যান ভাগারাম।
কেন এত কম টাকা, প্রশ্ন তুলতেই বচসা বাঁধে তিনজনের। ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অজ্ঞান করা হয় ভাগারামকে। এরপর গলা কেটে খুন। গলা থেকে রক্ত বেরোনো, কাটা অংশ কাপড় গোঁজা হয়। সারা শরীরে পেঁচানো হয় সেলোপেট। বডি ভরা হয় ট্রলিতে। এরপর গিরিশ পার্ক থেকে হলুদ ট্যাক্সিতে দমদম। তারপর দমদমে অনলাইন ক্যাব বুক করে মুড়াগাছা। কল্যাণী এক্সপ্রেওয়েতে দুজনের কথপোকথনে সন্দেহ জাগে ক্যাব চালকের। ট্রলিতে কী আছে, প্রশ্ন করতেই টাকা দিয়ে মুখ বন্ধের চেষ্টা। দু’জনই হিন্দিভাষী। এরপর চালকের সঙ্গে বচসায় একজন পালিয়ে যায়।
এলাকায় পিকেটিং চালানো ঘোলা থানার পুলিশকে ডাকে ক্যাব চালক। দেখান থেকে ধৃত অপর অভিযুক্ত। পরে পলাতককেও গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় অপরাধের কথা স্বীকার করেছে করণ এবং কৃষ্ণপাল। কিন্তু কীভাবে পেশাদার খুনিদের মতো অপরাধ? তদন্তে পুলিশ