এজন্য ঠিক ১৪ মাসের বনবাস। এরাজ্যে রেশনে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি করেছিল ইডি। সেই মতো গ্রেফতার করা হয়েছিল রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। গ্রেফতার হয়ে জামিন পেয়ে গেছেন বাকিবুর রহমান। বাকি ছিলেন শুধু জ্যোতিপ্রিয়। এবার ষোল কলা পূর্ণ। ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া বালুকে শর্তসাপেক্ষে জামিন মুক্তি দিল আদালত। বুধবারী রেশন দুর্নীতি মামলায় জ্যোতিপ্রিয়কে জামিন দেয় কলকাতার বিচার ভবন।
বুধবার বিকাল ৫:০০ টায় প্রেসিডেন্সি জেল থেকে বের হন জ্যোতিপ্রিয়। হাজির ছিলেন মেয়ে প্রিয়দর্শিনী ও বালুর অনুগামীরা। জেল থেকে বেরিয়ে বেশিক্ষণ বাইরে দাঁড়াননি তিনি। মেয়ের সঙ্গে গাড়িতে উঠে যান। তারপর পৌঁছন সল্টলেকের বাড়িতে। রেশন দুর্নীতি কে দুর্নীতির গঙ্গাসাগর এবং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে দুর্নীতির বিং মাস্টার বললেও ইডি তাকে ধরে রাখতে পারল না। রাজ্যে চলা একের পর এক দুর্নীতিতে গ্রেফতারির তালিকা যেমন সুদীর্ঘ হয়েছিল, তেমন তা কমেও গিয়েছে। এই মুহূর্তে দুর্নীতির অভিযোগে একমাত্র পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে রয়েছেন। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের জামিন মুক্তি যেন পার্থর মুক্তির আভাস দিয়ে গেল।
১৪ মাসের বনবাসের অবসান! জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও এবার জেলের বাইরে। রেশন দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারল না ইডি?
