বিচ্ছেদ বাড়ছে। সম্পর্কের হোক বা দু’টো মনের। মানুষ আলাদা হয়ে যাচ্ছে। মেসেজ যাচ্ছে, মনের মিল হচ্ছে কি? এই ২০২৫ এ দাঁড়িয়ে দু’টো ছবি খুব তাৎপর্যপূর্ণ। এক, দিলীপ-রিঙ্কু। দুই, মহুয়া-পিনাকী।সম্প্রতি বিয়ে সেরেছেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ, রিঙ্কু মজুমদার। আর এবার মিলল বঙ্গ-কলিঙ্গ। ওড়িশার পুরীর প্রাক্তন সাংসদ, বিজেডি নেতা পিনাকী মিশ্রকে বিয়ে করলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। “মন মাতানো মহুয়ায়”…পঞ্চাশ পেরিয়ে মিত্র পেলেন মহুয়া। সমাজের দাগিয়ে দেওয়া বয়স পেরিয়েছেন দু’জনেই। অনেকে খোড়াক করে বলছেন, “সুগার ড্যাডি/সুগার মমি। কত জনের সঙ্গে সম্পর্কে গিয়ে বিয়ে।” তাতে কার কী? কুছ তো লোগ কাহেঙ্গে।… যাইহোক। লোকে যাই বলুক, মহুয়ার বিয়ে নিয়ে মুখ খুলেছেন দিলীপ ঘোষ। কী বলেছেন জানেন? জানতে গেলে এই কনটেন্টটা পড়তে হবে। কারণ, এই বেশি বয়সের বিয়ে শুধু উদাহরণ নয়, কার্যত সমাজের ভীত হয়ে দাঁড়াতে পারে।বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মানুষ যত বড় হয়, তত ম্যাচিউরড হয়। আর এই ম্যাচুরিটিই জীবনসঙ্গী খোঁজার জন্য রত্নভান্ডার। একটা বয়সের পর, ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে মানুষ এমন পর্যায়ে পৌঁছয়, যখন সে একজন সঙ্গী খোঁজে। একে অন্যের মধ্যে। একে অন্যকে সঙ্গী করে তুলতে পারে। সম্পর্ক শুধু শরীর বা চাহিদাভিত্তিক হয়ে থেকে যায় না। তাই বয়সের বিয়েই যেন এখন শ্রেয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে।মহুয়া মৈত্র, দিলীপ ঘোষের বিরোধী দলের নেত্রী। নিজেও পঞ্চাশ পেরিয়ে বিয়ে করলেন। আর মহুয়াও। তাই দিলীপ মহুয়ার বিয়ে নিয়ে বলেছেন, ওদের শুভেচ্ছা জানাই। জীবন সুখের হোক। বয়স নয়, হৃদয়ের সঙ্গী পাওয়াই সবচেয়ে জরুরী।
বেশি বয়সের বিয়ে। জীবনসঙ্গী বেছে নিতে ম্যাচুরিটিই কি ম্যাজিক?
