কাশ্মীরের পথে বাংলাও! পর্যটনে ভয় নয়, সাহসের বার্তা দিয়ে পাশে দাঁড়ালেন মমতা

Spread the love

কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানার রেশ কাটতে না কাটতেই সামনে এল এক ভিন্ন ছবি। বৃহস্পতিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করলেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা। আর সেই বৈঠকে দাঁড়িয়ে বাংলার মানুষকে এক স্পষ্ট বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী—‘‘ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কাশ্মীরে যান।’’

ওমর জানালেন, জঙ্গিহানার পরে রাজ্যে বিমান চলাচল অনেকটাই কমে গিয়েছে। যা আগে দিনে ৫০ ছিল, তা এখন এসে দাঁড়িয়েছে ২০–২৫-এ। এই পরিস্থিতিতে পর্যটকদের সাহস জোগাতে বাংলাকে পাশে চাইছেন তিনি। সেই কথা শুনেই মমতা জানান, পশ্চিমবঙ্গের পর্যটকরাও কাশ্মীরকে ভালোবাসেন, ভবিষ্যতেও ভালবাসবেন। আর এই ভয় দূর করার দায়িত্ব সকলের। তিনি এ-ও বলেন, পুজোর পর তাঁর নিজস্ব কাশ্মীর সফরের ইচ্ছা রয়েছে।

এই বৈঠকে উঠে আসে কাশ্মীর-বাংলা সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার কথাও। ওমরের কথায়, কাশ্মীরের শাল, হাতের কাজ, আপেল ইত্যাদি পশ্চিমবঙ্গে খুব জনপ্রিয়। তার উপর রয়েছে পর্যটনের অসাধারণ সম্ভাবনা। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীও জানান, দুই রাজ্যের মধ্যে সাংস্কৃতিক, শিল্প ও পর্যটনের আদান-প্রদান আরও বাড়াতে হবে।

কাশ্মীরে নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কেন্দ্র ও সেনাবাহিনী যথেষ্ট সচেষ্ট বলেই মনে করছেন দুই নেতা। তবু সম্প্রতি কিছু ঘটনার পরে যেভাবে পর্যটকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে, তা কাটাতে এই বার্তাই দিতে চাইলেন মমতা ও ওমর—কাশ্মীর এখনো ‘ভূস্বর্গ’। আর সেখানে যাওয়ার জন্য ভয়ের নয়, প্রয়োজন বিশ্বাস ও সহমর্মিতার।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠে ছিল রাজনৈতিক নয়, এক মানবিক আবেদন—“কাশ্মীরে যান। ভয় পাবেন না। আমি নিজেও যাব।” এই কথার মধ্যেই যেন ফুটে উঠল বিভেদের বদলে ভ্রাতৃত্বের ডাক। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর এই অবস্থান একদিকে যেমন কাশ্মীরের পর্যটনকে নতুন আশা জোগাল, তেমনই বোঝাল, দুঃসময়ে পাশে থাকাই প্রকৃত নেতৃত্বের পরিচয়।


Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *