ভারত সফরে এসে বিশেষ অভ্যর্থনা পেলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় দিল্লির পালাম বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাতে হাজির হন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সাধারণত কোনও রাষ্ট্রনেতা এদেশে এলে তাঁকে অভ্যর্থনা জানানোর দায়িত্ব থাকে বিদেশমন্ত্রকের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের হাতে। কিন্তু পুতিনের ক্ষেত্র ভেঙে গেল সেই রীতি। ‘বন্ধু’ পুতিনের জন্য নিয়ম ভেঙে নিজেই বিমানবন্দরে পৌঁছে যান প্রধানমন্ত্রী।
এখানেই শেষ নয়। প্রচলিত প্রোটোকল অনুযায়ী দুই নেতার আলাদা গাড়িতে যাত্রা করার কথা। কিন্তু এবার দেখা গেল সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম—নিজের গাড়িতে পুতিনকে বসিয়ে ৭ লোককল্যাণ মার্গের উদ্দেশে রওনা দিলেন মোদি। কূটনৈতিক মহলে এই ঘটনাকে তাৎপর্যপূর্ণ ‘গাড়ি-কূটনীতি’ হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
দৃশ্যটি অনেকেরই মনে করিয়ে দিয়েছে গত বছরের সেপ্টেম্বরের কথা, যখন এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে চিনের তিয়ানজিনে গিয়েছিলেন মোদি ও পুতিন। তখনও তাঁদের এক গাড়িতে দেখা গিয়েছিল। ‘অর্গানাইজার’-এ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত ৩১ আগস্ট পুতিনের গাড়িতে প্রায় ৪৫ মিনিট একসঙ্গে ছিলেন দুই নেতা। সেই সময়টুকু নাকি পূর্বনির্ধারিত সূচিতে ছিল না—পরিস্থিতির চাপে শেষ মুহূর্তে তা ঠিক করা হয়।
সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি উঠেছিল পরে—যদি ওইদিন মোদি পুতিনের গাড়িতে না থাকতেন, তবে নাকি ঘটতে পারত অঘটন। এমনকি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ প্রধানমন্ত্রী মোদির বিরুদ্ধে কোনও নাশকতার ছক কষেছিল বলেও সন্দেহ প্রকাশ করা হয়। যদিও এই দাবি নিয়ে সরকারি মহল কিছু বলেনি।
মোদি–পুতিনের ঘনিষ্ঠতা এবং বারবার প্রোটোকল ভাঙার ঘটনাগুলি ঘিরে আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে এখন ফের জোর আলোচনা শুরু হয়েছে।


