কলকাতা: Possessiveness, যার অভিধানগত বাংলা হয়তো হয় না, কিন্তু এর অর্থ অধিকারবোধ বললেও ভুল হবে না। কিন্তু এই অধিকার যখন মাত্রাতিরিক্ত হয়ে যায় তখন তা অধিকার থেকে অত্যাচারে পরিণত হয়। যেমন ধরুন আপনি পৃথিবীর উপর মাটি কিনে তার ওপর বাড়ি করেছেন। এই জমির উপর আপনার অধিকার আছে। কিন্তু এই জমির অপব্যবহার যদি আপনি শুরু করেন তখন তা জমির উপর অত্যাচার হবে। এই একই ফর্মুলা প্রযোজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রেও।
আপনার বন্ধু অথবা বান্ধবীর উপর যথেষ্ট অধিকার রয়েছে, কিন্তু সেক্ষেত্রে পজেসিভনেসের মাত্রা বাড়তে থাকলে তা অত্যাচারে পরিণত হয়। তাবড় তাবড় সম্পর্ক ভেঙেছে এই কারণে। বলিউডের বিখ্যাত সলমন খান এবং ঐশ্বর্য্য রাইয়ের জুটিও এই কারণেই ভেঙেছে বলে বহু মাধ্যম দাবি করে। ঐশ্বর্যের ফিল্মের শুটে গিয়ে সলমনের গায়ের জোর খাটানো, ঐশ্বর্যের গায়ে হাত তোলা, প্রফেশনে বাধা দেওয়ার মতো বহু কথা চর্চিত। এমনকী, একটা সময়ে পুলিশ পর্যন্ত সলমনকে বারণ করেছিল ঐশ্বর্যের বাড়ি যেতে।
দীর্ঘদিনের সম্পর্ক চলার পথে অমসৃণ হয়ে ওঠে। শুধুমাত্র যদি আপনি সামনের মানুষটাকে বুঝতেই না পারেন। তার থাকা বা না থাকার চেয়ে আপনার কাছে অধিকার ফলানোটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যাবে। তখনই আপনি পজেসিভ নেসের আড়ালে নিজের সম্পর্কের ক্ষতি করছেন।
ভেবে দেখুন, এই ৫টি বিষয় কি আপনার সম্পর্কে দেখা দিচ্ছে:
- আপনার সঙ্গী অন্য কারও সঙ্গে কথা বললে শারীরিক সমস্যা হচ্ছে আপনার? যেমন শরীরে জ্বালাপোড়া, কপালে ভাঁজ, জোরে নিঃশ্বাস
- বারবার পার্টনারকে প্রশ্ন করে ফেলছেন, কোথায় যাচ্ছে কী করছে, কার সঙ্গে যাচ্ছে?
- আপনার সঙ্গী কোনও কথা শেয়ার করতে গেলেই আপনি বাধা হচ্ছেন, বা বিরক্ত বোধ করছেন। সর্বোপরি তাকে judge করে ফেলছেন?
- আপনি না বলবেন, আপনার সঙ্গীকে তাই করতে হবে, এমন মনোভাব আপনার মধ্যে তৈরি হচ্ছে?
- পোশাক থেকে শুরু করে , আপনার সঙ্গী কখন বাড়ি ফিরবে, তা-ও আপনি ঠিক করছেন?
উপরিউক্ত এই বিষয়গুলো যদি আপনার সম্পর্কে এসে থাকে, তবে এখনই ভাবুন। আপনার সঙ্গী দমবন্ধ অনুভব করছে না তো আপনার সঙ্গে?