RG KAR: আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে সঞ্জয় রায়কে, কিন্তু তার সাজা কমানোর সম্ভাবনার রাস্তা প্রচুর

Spread the love

১৯৯০ সালের হেতাল পারেখ ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডে ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের ফাঁসির সাজা। প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ করেছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালাম। ২০২৪ সাল, আরজিকরে ধর্ষণ-খুনে একমাত্র দোষী সাব্যস্ত হওয়া সঞ্জয় রাই-কে মৃত্যুদণ্ড দিল না শিয়ালদহ আদালত। একা সঞ্জয় রাইয়ের পক্ষে এত বড় ঘটনা ঘটানো কি সম্ভব? এই প্রশ্ন একেবারেই ফেলে দেওয়া যাচ্ছে না। সঞ্জয়ের ঘটনায় বারবার উঠে আসছে ধনঞ্জয়ের নাম। ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের ফাঁসি হয়েছে। ধর্ষকের মাটি হিসেবে আজও পরিচিতি পায় বাঁকুড়ার ছাতনার কুলুডিহি গ্রাম। কিন্তু ধনঞ্জয়কে নির্দোষ মানে তার গ্রাম। ধঞ্জয়ের মামলাকে রি-ওপেন করতে চাইছে তার গ্রামের বাসিন্দারা। এই নিয়ে তোরজোড় শুরু হয়েছে আগেই। সঞ্জয়কে মৃত্যুদণ্ড না দেওয়ার সিদ্ধান্ত কি ধনঞ্জয় মামলা রি-ওপেন করতে সাহায্য করবে? ধনঞ্জয়ের মামলা পুনর্বিবেচনা হলে তা নিয়ে আইনি আলোচনা সম্ভব। কিন্তু সশরীরে সেই ব্যক্তিকে ফেরানো সম্ভব নয়। মন্তব্য আইনজীবী মহলেহেতাল পারেখ হত্যা মামলার তদন্তে একাধিক অসঙ্গতি ফুটে উঠেছিল। বহুক্ষেত্রে বলা হয়েছিল, পারিবারিক ‘অনার কিলিং’ ঢাকতে তরিঘড়ি ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়কে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়। একাধিকবার নিজেকে নির্দোষ দাবি করার পর, সঞ্জয় কি তবে সুযোগ পেল নিজের দাবি আইনি পথে প্রমাণ করার? মামলার পরবর্তী গতিপথে নজর থাকবে। মৃত্যুদণ্ড হল না সঞ্জয় রাইয়ের। হা-হুঁতাশ নানা মহলে। আইন বলছে একাধিক পথ খোলা রইলো সঞ্জয়ের। মোট ৩টি ধারায় দোষী সাব্যস্ত আরজিকর ধর্ষণ-খুনে একমাত্র ধৃত। ধারা ১০৩ -এর ১ আমৃত্যু কারাদণ্ড। ধারা ৬৬ : যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, সঙ্গে ৫০ হাজার টাকার জরিমানা, অনাদায়ে অতিরিক্ত ৫ মাস কারাবাস এবং ধারা ৬৪ : ১০ বছরের কারাদণ্ড, সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে অতিরিক্ত ৫ মাসের কারাবাসশুধুমাত্র DNA -র ভিত্তিতে খুনী প্রমাণ করা যায় না। মেডিক্যাল সায়েন্স, ফিলোজফি বলছে – একজন ব্যক্তির পক্ষে একা এই অপরাধ সংঘটিত করা সম্ভব নয়। হাইকোর্টে গেলে সাজা বদলাতে পারে। মন্তব্য আইজীবী শমীক বাগচীরআরজি কর-কাণ্ড বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা নয় বলেই পর্যবেক্ষণ শিয়ালদহ আদালতের বিচারকের। শমীকবাবু আরও জানান, পরবর্তীতে উচ্চ পর্যায়ে মামলা গেলে সাজা কমতে পারে সঞ্জয় রায়ের। যে যে ধারায় মামলা হয়েছে, তার ভিত্তিতে সময়সীমা কমানোর আইনি পথ খোলা। সঞ্জয়ের সাজা ঘোষণায় মন্তব্য আইনজীবী শমীক বাগচীর ধনঞ্জয়ের ফাঁসি অথবা সঞ্জয়ের আইনি পথ খোলা রাখা। একে কি বিচার বলা চলে? পোস্ট মর্টেম রিপোর্টে মাথায় রক্তক্ষরণের উল্লেখ। যা কঠিন সার্ফেসে আঘাতের কারণে হতে পারে। যদি ম্যাট্রেসে গলা চেপে খুন হয়, তবে মাথার খুলির নিচে রক্ত জমাট বাঁধে কীভাবে? কাদম্বিনীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন। সঞ্জয় রাইয়ের নখের নমুনায় তার DNA পাওয়া যায়নি। কাদম্বিনীর নখের নমুনাতেও DNA পাওয়া যায়নি। তাহলে সঞ্জয় একমাত্র দোষী কীভাবে?


Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *