এজবাস্টনের ঐতিহাসিক মাটিতে ভারতীয় অধিনায়ক শুবমান গিল তুলে নিলেন ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস—২৬৯ রান। টেস্ট ক্রিকেটে নিজের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিকে অতুলনীয় উচ্চতায় নিয়ে গিয়ে গিল ভারতের ইনিংসকে এনে দেন রানের পাহাড়। তার ২৬৯ রানের ইনিংসটি ভারতের পক্ষে ইংল্যান্ডের মাটিতে কোনো ব্যাটারের সর্বোচ্চ স্কোর, একই সঙ্গে এটি একটি টেস্ট ইনিংসে ভারতের অধিনায়কের করা সর্বোচ্চ রান। এই ইনিংসের সুবাদে ভারত ৫৮৭ রানে অলআউট হয়ে ম্যাচে একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়।
গিল তার ইনিংসে খেলেন ৩৮৭টি বল, মারেন ৩০টি চার ও ৩টি বিশাল ছয়। শুরুর দিকে কিছুটা চাপে পড়লেও, গিল ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসে দাপট দেখাতে শুরু করেন। যখন দল ২১১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল, তখন রবীন্দ্র জাডেজার সঙ্গে ২০৩ রানের এক মহামূল্যবান জুটি গড়েন তিনি। ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয় এই পার্টনারশিপ।
ভারতের ইনিংস শেষ হওয়ার পর ইংল্যান্ড ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেনি। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষের সময় তাদের স্কোর ছিল মাত্র ৭৭/৩। ভারতের পেসার আকাশ দীপ ও মোহাম্মদ সিরাজ ইংল্যান্ডের টপ অর্ডারকে দ্রুত ফিরিয়ে দেন। এখনো ইংল্যান্ড ৫১০ রানে পিছিয়ে রয়েছে, যার ফলে তাদের সামনে রয়েছে পাহাড়সম চ্যালেঞ্জ।
ম্যাচ শেষে শুবমান গিল জানান, কিছু সময় ধরেই তিনি টেস্ট ক্রিকেটে আগের মতো আনন্দ পাচ্ছিলেন না। তাই এবারের সফরে নিজের ব্যাটিং উপভোগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। গিল বলেন, “আমি চেষ্টা করেছি ছোটবেলার মতো খেলতে, যেখানে কোনো চাপ নেই, শুধু ব্যাটিংয়ের আনন্দ রয়েছে।”
এই ইনিংস কেবল একটি রানের সংখ্যা নয়, বরং গিলের নেতৃত্বে ভারতীয় ক্রিকেটে এক নতুন আস্থার প্রতিফলন। ভারতের সামনে এজবাস্টনে প্রথম জয়ের হাতছানি—যেখানে এর আগে ৭টি ম্যাচে তারা কখনো জিততে পারেনি। শুবমান গিলের এই ইনিংস সেই ইতিহাস বদলানোর সম্ভাবনাকেই জোরালো করছে।