শহরের বিভিন্ন এলাকার ২৩০ জন বঞ্চিত টোটোচালকের হলোগ্রামের দাবিতে পুরপ্রধানের কাছে কাউন্সিলর পদত্যাগপত্র জমা দিলেন। কাটোয়া পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের জাতীয় কংগ্রেসের কাউন্সিলর রণজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ তার অনুগামী টোটোচালকদের বেছে বেছে হলোগ্রাম দেওয়া হয়নি। কাউন্সিলের পদত্যাগ পত্র জমা দেওয়ার ঘটনায় কাটোয়া পুরসভায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।কাটোয়া পুরপ্রধান সমীর কুমার সাহা বলেন, রণজিৎ বাবু একটা অবান্তর দাবি নিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।শহরে টোটোর রাশ টানতে পুলিশ-প্রশাসনের উদ্যোগে নিয়ম মেনে টোটোর হলো গ্রাম দেওয়া হয়েছে। হলো গ্রাম দেওয়ার ক্ষেত্রে কোন রাজনীতি দেখা হয়নি। যারা আবেদন করে প্রয়োজনীয় নথি জমা দিয়েছে তারা হলোগ্রাম পেয়েছে। কংগ্রেস কাউন্সিলর রণজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি তাহলে জাতীয়তাবাদী ইউনিয়নের একজন সদস্যকেও কেন হলোগ্রাম দেওয়া হল না। কাটোয়া শহরে টোটো চলাচলে রাশ টানতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে জেলা পরিবহণ দপ্তর এবং মহকুমা শাসকের দপ্তর সহ পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে কাটোয়া কাশীরাম দাস স্কুলের মাঠে শিবির করে শহরে টোটো চলাচলে হলোগ্রাম দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনিক বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যেসব টোটোর হলোগ্রাম থাকবে না তারা শহরে চলাচল করতে পারবে না।কংগ্রেস কাউন্সিলর রণজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ সেই শিবিরে জাতীয়তাবাদী ইউনিয়নের কোন সদস্যকে ডাকা হয়নি। জাতীয়তাবাদী ইউনিয়নের টোটোচালকদের অভিযোগ তারা রণজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের দল করে বলে হলোগ্রাম পায়নি। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত কাটোয়া পুরসভার পুরপ্রধান সমীর কুমার সাহা এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পুলিশ প্রশাসনের তরফে শহরে মাইকিং করা হয়েছিল। যারা আসেনি তারা হলোগ্রাম পায়নি। রাজনৈতিক দলের পরিচয়ে শহরে টোটোর হলোগ্রাম দেওয়া হয়েছে এই দাবি করে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রণজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের শনিবার কাটোয়া পুরসভায় গিয়ে পুরপ্রধানের হাতে তার পদত্যাগ জমা দিয়ে আসেন। বঞ্চিত টোটোচালকদের হলোগ্রাম দেওয়ার বিনিময়ে তিনি তাঁর কাউন্দিলর পদ ছেড়ে দিতে রাজি আছেন।পুরপ্রধান সমীর বাবু বলেন, সদস্যদের নিয়ে পুরবোর্ডের বৈঠকে কাউন্সিলরের পদত্যাগ পত্র নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
হলোগ্রামের দাবি টোটো চালকদের
