অডিওর পর রেকর্ড হয় ঘুষের ভিডিও। ফোন করে ভিডিও মুছে দেওয়ার মিনতি কালীঘাটের কাকুর। দাবি সিবিআই চার্জশিটে।

Spread the love

প্রাথমিক দুর্নীতি নিয়োগ মামলায় শুধুমাত্র অডিওই নয় এবার একটি ভিডিওর কোথাও জানতে পেরেছে সিবিআই। চাকরি প্রার্থীদের ঘুষের টাকা কিভাবে লেনদেন হত তারই ক্যামেরাবন্দি করেছিলেন ওই মামলার বয়ান দেওয়া এক সাক্ষী। সিবিআই তার এই বয়ান রেকর্ডও করেছে।

ওই সাক্ষী জানিয়েছে ওই ভিডিওটি মুছে ফেলতে বারবার ফোন করে ভিডিওটি মুছে ফেলার অনুরোধ করেছেন, সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু। প্রাথমিক মামলার তদন্তে নেমে ওই সাক্ষীকে জেরা করে এই তথ্যটি জেনেছে সিবিআই। প্রাথমিক মামলার তৃতীয় অতিরিক্ত চার্জশিটে এই বিষয়টি উল্লেখ করা আছে। তবে অবশ্য সংশ্লিষ্ট ভিডিওটি এখনো হাতে পায়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

এই প্রাথমিক মামলায় দশজন সাক্ষীর কাছ থেকে প্রায় চারটি ডায়েরী পেয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। ওই চারজন অরুন হাজরার এজেন্ট হিসেবে কাজ করত। তারা চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে দিতেন কালীঘাটের কাকুকে। ঠিক তেমনি এক এজেন্টের নেওয়া টাকা লেনদেনের ভিডিও করেন ওই সাক্ষী । ওই ব্যক্তি সিবিআই এর কাছে দাবি করেন সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের অনুরোধের পর মোবাইল থেকে তিনি মুছে দেন ওই ভিডিওটি। উল্টে কালীঘাটের কাকু এদিনকে জানান প্রমান লোপাট করতে ওই ব্যক্তি তার দুটি ফোন কালীঘাটের আদি গঙ্গায় ফেলে দিয়েছে।

সিবিআই এর কাছে ওই এজেন্টের বয়ানের অনুযায়ী কালীঘাটের কাকুর সহকারি নিখিল হাতির ঘুষ নেয়ার ভিডিও নিজের ফোনে রেকর্ড করেছিলেন তিনি। সেই মুহূর্তে একই জায়গায় উপস্থিত ছিলেন সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। পরে এই মামলা নিয়ে সিবিআই সজাগ হয়ে উঠলেই ফোন করে ওই ভিডিও মুছে দেওয়ার মিনতি করেন কালীঘাটের কাকু। ওই এজেন্ট সিবিআই কে জানায় যে, শুধুমাত্র প্রাথমিক নয়, উচ্চ প্রাথমিক শারীর শিক্ষা কর্মশিক্ষা একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর সহ একাধিক চাকরির জন্য প্রার্থী সংগ্রহ করতেন তিনি। কারণ তিনি নিজেও একজন চাকরিপ্রার্থী ঘুষের টাকা না দিতে পারায় তাকে চাকরিপ্রার্থী খুঁজে দিতে বলা হয়েছিল। এই ভাবে মোট অরুণের কাছ থেকে প্রার্থী নিয়ে সুজয় কৃষ্ণের হাতে গিয়েছে ৭৮ কোটি টাকা।


Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *