শঙ্কু সাঁতরা :চাষীরা মার খাচ্ছে এক শ্রেণীর রাজনৈতিক মদত পুষ্ট ব্যবসায়ীদের কাছে। এই অভিযোগ দীর্ঘদিন চলে আসার পরও, এখনো পর্যন্ত কোনো ভাবে চাষীদের সেই সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। সে রকমই অভিযোগ উঠেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ,নামখানা উচ্ছে বাজারে। অভিযোগ ,স্থানীয় রাজনৈতিক মদত পুষ্ট এক ব্যবসায়ী উচ্ছে চাষীদের দিনের পর দিন লুট করছে। এই ঘটনায় রীতিমতো বিপাকে পড়েছে উচ্ছে চাষীরা।
বেশ কয়েক বছর ধরে উচ্ছে চাষ করে চাষীরা অর্থের মুখ দেখছে। যে কারণে ,নামখানা ব্লকের বহু চাষী উচ্ছে চাষ করছে। আগে যে সব চাষীরা পানের বরজ করে টাকা রোজগার করত।সেই চাষীদের বেশিরভাগ প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে, উচ্ছে চাষের দিকে ঝুঁকেছে। কয়েক বছর ধরে নামখানা উচ্ছে মার্কেটে শুরু হয়েছে জায়গা ভাড়া নেওয়ার জন্য কুপন ব্যবস্থা। তার ওপর গাড়ি পার্কিংএর জন্য তো টাকা রয়েছেই।
নামখানার উচ্ছে চাষী বাবলু খাটুয়া বলেন। তারা উচ্ছে চাষ করতে যে পরিমাণে খরচ করেন।তার আশানুরূপ লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছে না। যেখানে রাজ্যের বিভিন্ন খুচরো বাজারে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে উচ্ছে বিক্রি হচ্ছে। সেখানে বাবলু খাটুয়ারা ১৪ টাকা কেজি দরে উচ্ছে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। যার ফলে রীতিমতো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তারা।
বাবলু খাটুয়ার অভিযোগ, নামখানা উচ্ছে বাজারে সেখ জাকির নামে এক উচ্ছে ব্যবসায়ী রয়েছে। ওই জাকির বাজারে নিজের প্রভাব খাটিয়ে, উচ্ছের দাম নিজের ইচ্ছে মত তৈরি করছে। ইচ্ছে না থাকলেও, জাকিরের নির্ধারিত দামেই উচ্ছে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে চাষীরা।
শেখ জাকিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি জানান তার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে। তবে ফোনে তার সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি হুঙ্কার দেন। যদি তারা উচ্ছে না কেনে, কেনা বন্ধ করে দেয়,তাহলে চাষীদের “….. ফেটে যাবে।” জাকিরের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ এবং উচ্ছে মার্কেটে প্রভাবের ফলে, রীতিমত উচ্ছে চাষীরা ভয়ে ররয়েছে।
এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে এবং রবীন্দ্রনাথ কোলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, রবীন্দ্রনাথ বাবু স্পষ্ট জানিয়ে দেন। “চাষীদের এই ভাবে ঠকালে আমরা অতি শীঘ্র স্থানীয় থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে, এই ধরনের অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।” কমল বাবু জানান,”চাষীদের চাষ করতে সার, বিষ,জল ও শ্রমে প্রচুর খরচ হয়। এই খরচ তুলতে গিয়ে চাষীরা রীতিমত হিমশিম খায়। তার ওপর কোন বাজারে যদি এই ধরনের অব্যবস্থা হয়। তাহলে অতি শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি।”
সূত্রের খবর, জাকিরের সঙ্গে আরও বেশ কয়ে কয়েকজন রয়েছে ।যারা চাষীদের রীতিমত বিপাকে ফেলছে প্রতিদিন।