রক্তিম ওঝা:তরুণীর নামে একাধিক মামলা রয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন থানায়। রাজ্যের এক এক জায়গায় এক এক নামে নিজের পরিচয় দিতেন এই তরুণী। কখনো রঙ্গিলা আবার কখনো সারা। তরুণীর আসল পরিচয় নিয়ে সংশয় রয়েছে এখনো পুলিশের।
প্রথমে প্রেম তারপর বিয়ের প্রতিশ্রুতি ঠিক এই কায়দায় একের পর এক যুবককে প্রতারণা করে টাকা হাতাতেন এই তরুণী। শেষমেষ প্রতারণার অভিযোগে বহরমপুর থানার পুলিশ এই তরুণীকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তার পরিচয় বিভিন্ন রকমের। তরুণীর আসল পরিচয় এর উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে পুলিশ।তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে এই তরুণী একাধিকবার বিয়ে করেছেন।
বেলডাঙায় এক স্বাস্থ্যকর্মী যুবককে ফাঁসানোর অভিযোগ আছে তার ওপর। এমনকি জলঙ্গির এক যুবককে বিয়ে করে তার বিরুদ্ধেই অভিযোগ দায়ের করে এই তরুণী। ওই যুবককে দামি চারচাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। যুবকের অভিযোগ নিজেকে পুলিশ আধিকারিক হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন তরুণী। এরপরেই গাড়ি কেনার নাম করে যুবকের কাছ থেকে আধার কার্ড সহ বিভিন্ন নথি চেয়ে পাঠিয়েছিলেন। এমনকি গাড়ির শোরুমে ভিডিও কল করে যুবককে গাড়ি পছন্দ করতেও বলেছিলেন। কিন্তু এই বিষয়ে তরুণীর আগ্রহ দেখে সেটা সন্দেহ হয় যুবকের। আরো সন্দেহ বাড়ে ওই শোরুমের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে। এরপরেই রঙ্গিলা কে ব্লক করে দেয় যুবক কিন্তু এতেই দমেননি সেই তরুণী। এরপরেই যুবককে একাধিকবার অন্যান্য নাম্বার থেকে ফোন করে হুমকি দিতে থাকে বলে অভিযোগ।নিজেকে পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তা পরিচয় দিয়ে দাবি করেন, তাঁর বাবা লালবাজারের বড় অফিসার। তিনি নিজেও শীঘ্রই বেলডাঙা থানায় যোগ দেবেন এবং যুবককে জেলে পাঠাবেন।যুবক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অবশেষে বহরমপুর থানার পুলিশ অন্য এক প্রতারণার মামলায় তরুণীকে গ্রেফতার করে।এই চক্রে তরুণীর সঙ্গে আর কেউ জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তদন্ত চলছে।