বৃদ্ধার হাতের একজোড়া সোনার চুড়ি নিয়ে চম্পট দিল এক যুবক। প্রকাশ্য দিবালোকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে ওই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলডাঙা থানার কুমারপুর এলাকার জ্যোৎস্না মন্ডল নিজের চিকিৎসা করতে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আউটডোর বিভাগে গিয়েছিলেন। সেখানে চিকিৎসক দেখিয়ে হাসপাতাল থেকে ওষুধ নেওয়ার জন্য কাউন্টারে যাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময় এক যুবক তাকে চেনেন বলে কথাবার্তা শুরু করে। বয়স্ক মানুষ ওষুধ নেওয়ার লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে কষ্ট হবে বলে জোৎস্না মন্ডলের কাছ থেকে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনটা চেয়ে নেয় ওই যুবক। জোৎস্না মন্ডল কোমরের ব্যথা বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলেন। ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ নেওয়ার জন্য দোতলা থেকে নিচে নামতেই এক যুবক তাকে চেনে বলে আলাপ করছিল। হাতে সোনার চুড়ি দেখে ওই যুবক বলেছিল ‘দিনকাল খারাপ ঠাকুমা আপনি সোনার চুড়ি দুটো আপনার ঝোলাতে ভরে রাখুন। আপনি বসুন আমি প্রেসক্রিপশন নিয়ে ওষুধ এনে দিচ্ছি’। ওই যুবকের কথা মত চার আনা সোনার একজোড়া চুড়ি ঝোলাতে ঢুকিয়ে রাখেন ওই রোগী।এরপরে ওই যুবক চলে যায়। ২-১ মিনিটের মধ্যে ফের ঘুরে এসে বলে ঠাকুমা আমাকে প্রেসক্রিপশনটা দিন। এরপর নিজেই ঝোলাতে হাত ঢুকিয়ে প্রেসক্রিপশন তুলে নেয় । বেশ কিছুক্ষন অপেক্ষা করার পর ঝোলায় হাত ঢুকিয়ে তিনি দেখেন সোনার চুড়ি জোড়া নেই! হাসপাতাল সুপার কে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন ওই বৃদ্ধা।
বৃদ্ধার হাতের চুড়ি নিয়ে চম্পট!
