কাশ্মীরের উধমপুরে জঙ্গিদের গুলিতে শহীদ ঝন্টু আলী শেখের বাড়িতে এলেন রাজ্যসভার কংগ্রেস সাংসদ ইমরান প্রতাপগড়ী।আজ বিকালে তেহট্টের পাথরঘাটায় শহিদ ঝন্টু আলি শেখের বাড়িতে যান তিনি। পরিবারের সঙ্গে দেখা করে পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। তিনি বলেন, শহীদ ঝন্টু আলী শেখের আত্ম বলিদান সারা দেশের সাথে পশ্চিমবঙ্গের ও গর্বের বিষয়। পহেলগাঁওয়ে আতঙ্কবাদী হামলার পর সেনার পক্ষ থেকে এটাই ছিল প্রথম আত্ম বলিদান। ঝন্টু আলী শেখ দেশ রক্ষা করার জন্য নিজের জীবন দিয়েছিলেন। সেই সময় তিনি আমেরিকায় ছিলেন সেজন্য আসতে পারেন নি। শহীদ ঝন্টু আলী শেখের ইচ্ছা ছিল তার ছেলে সৈনিক স্কুলে পড়বে, তার স্ত্রী তাঁকে সেকথা জানিয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি সাহায্য করবেন বলে জানিয়েছেন। এছাড়াও তিনি সরকারের কাছে পরিবারের জন্য আর্থিক সাহায্য ও সম্মানের চাকরির আবেদন জানাবেন। *পশ্চিমবঙ্গের ১২ জন সাংসদের মধ্যে একজনও শহিদ পরিবারের সঙ্গে দেখা করেননি, এ বিষয়ে তিনি বলেন*, এটা খুব নিন্দাজনক, যারা সেনার নাম করে রাজনীতি করে, ভোট ভাগ করে তাদের কাছে শহিদের কি মর্যাদা আছে? যা দেখা যাচ্ছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমার মনে হয় দেশের প্রধানমন্ত্রীর উচিত রাজ্য নেতৃত্বকে বলার যাতে তাদের সাংসদ ও রাজ্য নেতৃত্ব শহিদের বাড়িতে যায় ও সম্মান দেয়। *মধ্যপ্রদেশের বিজেপি মন্ত্রী কর্নেল সোফিয়া কুরেশি সম্পর্কে মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন* প্রথম দিন বিষয়টি জানার পর তিনি প্রথম সোস্যাল প্লাটফর্মে প্রতিবাদ জানান। এরপরই পুরো দেশ বিষয়টি জেনেছে। আর এটাই হলো আসল চেহারা। আমার আফশোস, দেশের প্রধানমন্ত্রী সেনার মনোবল বাড়ানোর কথা বলেন আর মধ্যপ্রদেশে তার দলের মন্ত্রী দেশের স্নেহের মেয়ে কর্নেল সোফিয়া কুরেশি সম্পর্কে যে ভাষা প্রয়োগ করেছেন তা অত্যন্ত সাম্প্রদায়িক। খুশির খবর মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট ব্যবস্থা নিয়েছে এবং এফ আই আর হয়েছে। আফসোসের বিষয় এসবের পড়ে বিজেপি তাকে মন্ত্রীত্ব থেকে সরিয়ে দেয়নি। তিনি এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।
শহিদ জওয়ানের বাড়িতে কংগ্রেস সাংসদ
