বাঙালি মেজাজে রাজ্যপাল

Spread the love

আউশগ্রামের শোকাডাঙা কে আদর্শ গ্রামের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল ২০০১ সালে। খানে ই এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আমার গ্রাম নামক অনুষ্ঠানে এসে তিনি যথেষ্ট অভিভূত হয়েছেন। তাকে কাছে পেয়ে স্থানীয়রা তাদের অভাব অভিযোগের কথা জানিয়েছেন।


পৌষ সংক্রান্তির পরের দিন পূর্ব বর্ধমানের আউশ গ্রামে গিয়ে সিবি আনন্দ বোস পিঠে পুলিতেই মুজে রইলেন। বাঙালির প্রিয় পিঠেপুলি তার মন কেড়ে নিয়েছে। তাকে দেওয়া হয়েছিল বাঙালির আরেক প্রিয় খাদ্য আলু পোস্ত। কিন্তু অনেক সাদা সাধের পরেও তিনি তার চেখে দেখেননি। বরং দুধপুলি আর চিকেন পিঠে দিয়েই মধ্যাহ্নভোজ সারলেন।


আউসগ্রামের বাসিন্দা মদন শোরেন এর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়েছিল। মদন সরেন আউশগ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য। ভাত, ডাল, আলু পোস্ত , চাটনি, পাঁপড়, মিষ্টি সাজিয়ে দেওয়া হয়েছিল রাজ্যপালের জন্য। চিকেন পিঠে আর দুধ পুলি সঙ্গে ছিল। আলু পোস্তর বাটি তিনি দূরেই রাখলেন। বেশ রসিয়ে খেলে পিঠেপুলি। একজন সরকারি আধিকারিক রাজ্যপালকে বারবার বলেন যে আলুপস্তো বাঙালির ফেমাস খাবার। তবুও আলু পোস্তর দিকে মন যায়নি রাজ্যপাল সাহেবের। বেশ কিছু এক্সজটিক ফলমূলও সাথে ছিল। পিঠেপুলি ছাড়া কোন কিছুই চোখে দেখেনি রাজ্যপাল। সুযোগ পেলে আবার তিনি মদন সরেনের বাড়িতে পিঠে খেতে যাবেন বলে জানিয়ে এসেছেন।


Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *