মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ সফরে যেতে পারেন—এমন খবর ঘুরে বেড়াচ্ছে পাকিস্তানি ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে। এই সফরের পর তাঁর ভারত সফরের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। যদিও পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই সফর সম্পর্কে তাদের কাছে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক তথ্য নেই।
রয়টার্স সূত্রে প্রকাশ, পাকিস্তানের দুটি সংবাদমাধ্যম অজ্ঞাতনামা সরকারি সূত্রের বরাতে জানিয়েছে যে ট্রাম্প ইসলামাবাদে পৌঁছাতে পারেন সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে। এরপর ভারতের রাজধানী দিল্লিতে যাবেন তিনি। জিও নিউজ এই খবর প্রকাশ করার পরপরই তা সরিয়ে নেয় এবং অনির্ভরযোগ্য সূত্রের তথ্য প্রচারের জন্য দুঃখপ্রকাশ করে।
এই জল্পনার পেছনে মে মাসের একটি ঘটনার ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। ওই মাসে হোয়াইট হাউসে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বৈঠক হয়। সেই বৈঠকের পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্কে নতুন উষ্ণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। অনেকের মতে, এই সফরের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে নতুন করে মার্কিন প্রভাব বিস্তারের কৌশল শুরু করতে পারে ট্রাম্প প্রশাসন।
তবে এই সফর সত্যিই বাস্তবায়িত হলে, তা হবে ২০০৬ সালের পর প্রথমবার কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের পাকিস্তান ভ্রমণ। স্বাভাবিকভাবেই এই খবরে সরব হয়েছে ভারতীয় রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মহল। যদিও এখনো পর্যন্ত দিল্লির পক্ষ থেকেও কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, পাকিস্তান ও ভারত—দুই দেশেই সফর হলে, ট্রাম্প এই অঞ্চলে মার্কিন ভূমিকার ভারসাম্য বজায় রাখতে চাইছেন। বিশেষ করে চীন ও রাশিয়ার প্রভাব মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়াকে গুরুত্ব দিতে চাইছে হোয়াইট হাউস।
এই মুহূর্তে ট্রাম্পের সম্ভাব্য সফর নিয়ে সরকারি স্তরে কোনো নিশ্চয়তা না থাকলেও, আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় এটি এক গরম আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে।