আপাতত জামিনের মুক্ত অনুব্রত মণ্ডল। গরু পাচার মামলায় তবুও স্বস্তি মেলেনি তার। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ইতিমধ্যেই অনুব্রত মণ্ডলের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে গরু পাচার মামলায়। যার আর্থিক পরিমাণ প্রায় ২৫ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা। ডিরেক্টরেট সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রায় ৩৬ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এই অ্যাকাউন্টগুলি অনুব্রত মণ্ডল, তার হাতে থাকা বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার নামে এবং তার পরিবারের নামে রয়েছে। বেনামেও কিছু অ্যাকাউন্ট রয়েছে।
সিবিআই গরু পাচার মামলার তদন্তে নেমে প্রথমে ব্যবসায়ী এনামুল হক এবং বিএসএফ কমান্ডেন্ট সতীশ কুমার এর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছিল। এরপর নানা সূত্র থেকে সিবিআই ও ইডির জানতে পারে বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল এই ঘটনার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয় ২০২১ সাল থেকে। অনুব্রত মণ্ডল তার বীরভূমের বাড়ি থেকে সিবিআই দ্বারা ২০২২ সালের আগস্ট মাসের গ্রেফতার হন। বিচার পর্ব শুরু হয় তাকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে। বীরভূমের এই তাবড় নেতা ধার জেলে বন্দী ছিলেন। এরপর সেই বছরেরই নভেম্বর মাসে তাকে গ্রেপ্তার করে ইডি। ২০২৪ সালের ২০ শে সেপ্টেম্বর গরু পাচার মামলায় জামিন পান অনুব্রত মণ্ডল। এবং বোলপুরে ফিরে আসেন।।
ইডি দাবি করেছে, অনুব্রতর হাতে গরু পাচারের মধ্য দিয়ে প্রায় আটচল্লিশ কোটি ৬ লক্ষ টাকা এসেছিল। যার একাংশ অনুব্রত তার মেয়ে এবং হিসাব রক্ষকের অ্যাকাউন্টে রেখেছিলেন বলে অভিযোগ। তাই অনুব্রত মণ্ডল গ্রেপ্তার হওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদ করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হিসাব রক্ষক মনীশ ও কন্যা সুকন্যা গ্রেপ্তার হয়েছিল। পরে যদিও তারা জামিনে মুক্ত হন। এখনো পর্যন্ত ৫১ কোটি ১৩ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে বলে জানিয়েছে ইডি এই মামলায়। তদন্তকারীরা আরও সম্পত্তির সন্ধান পাবেন এই আশায় রয়েছেন।