শহরের পরিচিত এবং বিলাসবহুল রেস্তরাঁ, যা অভিনেত্রী গৌরীর নামে চালিত, সেই রেস্তরাঁ এখন বিতর্কের কেন্দ্রে। কিছুদিন আগেই একাধিক ক্রেতা অভিযোগ করেন, রেস্তরাঁর খাবারে ব্যবহৃত পনীরের স্বাদ ও গঠন ঠিক নেই। অনেকেই বলেছিলেন, পনীরটা মুখে নিলেই বোঝা যাচ্ছে সেটা খাঁটি নয়।
এই অভিযোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে। ছবি ও ভিডিও পোস্ট করে অনেকেই অভিযোগ জানান। বিষয়টি নজরে আসতেই খাদ্য দফতর তৎপর হয়। হানা দেওয়া হয় গৌরীর রেস্তরাঁয়। রান্নাঘর থেকে পনীরের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয় পরীক্ষাগারে।
ল্যাব রিপোর্টে স্পষ্ট হয়, সেই পনীর খাঁটি নয়। তাতে মেশানো ছিল কৃত্রিম উপাদান ও রাসায়নিক—যা স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন সাধারণ মানুষ।
রেস্তরাঁর ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বহু নিয়মিত ক্রেতা বুকিং বাতিল করেন। খাবার পর্যালোচনার ওয়েবসাইটে কমে যায় রেটিং। অনেকেই মন্তব্য করেছেন—“এই বিশ্বাসঘাতকতা মেনে নেওয়া যায় না।”
এই ঘটনার পরে গৌরীর রেস্তরাঁর পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, তারা অত্যন্ত দুঃখিত এবং বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছে। সরবরাহকারী যাঁরা নকল পনীর দিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
তবে প্রশ্ন উঠছে—এত নামী রেস্তরাঁ নিয়মিতভাবে খাবারের গুণমান পরীক্ষা করে না কেন? তদন্ত এখনও চলছে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, প্রমাণ পেলে আরও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ব্যবসার উপর ইতিমধ্যেই বড় প্রভাব পড়েছে। এখন দেখার, গৌরীর এই রেস্তরাঁ আবার আগের বিশ্বাস ফিরে পেতে পারে কি না।