নদিয়ার কালীগঞ্জে উপনির্বাচনের ফলাফলে বিপুল জয়ের মুখ দেখল তৃণমূল কংগ্রেস। সোমবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছিল ভোটগণনা, আর প্রথম থেকেই এগিয়ে ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী আলিফা আহমেদ। একসময় ব্যবধান বাড়তে বাড়তে পঞ্চাশ হাজার ছাড়িয়ে যায়। শেষপর্যন্ত প্রায় ৫০,০৪৯ ভোটে জয়ী হয়ে বিধায়ক নির্বাচিত হলেন আলিফা।
এই জয় শুধুই তৃণমূলের নয়—তাঁর প্রয়াত বাবা গৌরহরি দত্তের ‘জনসংযোগের রাজনীতি’-কেও যেন সম্মান জানাল কালীগঞ্জবাসী। আলিফা নিজেও বলছেন, এই জয়ের কৃতিত্ব মানুষের, ধর্ম-বর্ণ-জাতি নির্বিশেষে তাঁরা যে উন্নয়নের পক্ষে রায় দিয়েছেন, সেটাই প্রমাণ হয়েছে আজকের ফলে। উল্লেখযোগ্যভাবে, আলিফার জয়ের ব্যবধান তাঁর বাবার ২০২১ সালের জয়কেও ছাপিয়ে গিয়েছে।
অন্যদিকে, বিজেপি প্রার্থী আশিস ঘোষ দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও বহু ভোটের ব্যবধানে হেরে গিয়েছেন। আর কংগ্রেস প্রার্থী কাবিলউদ্দিন শেখ তৃতীয় স্থান দখল করেছেন। বাম-কংগ্রেস জোট এখানে রণনীতি সাজিয়ে নির্বাচনে লড়লেও কাঙ্খিত ফল পায়নি। কংগ্রেস নেতা কাবিলউদ্দিন শেখ অবশ্য দাবি করেছেন, মমতা-মোদীর ‘সেটিং’ এই ফলের জন্য দায়ী।
এই নির্বাচনী ফলাফলের পাশাপাশি কালীগঞ্জে ঘটে যাওয়া একটি বেদনাদায়ক ঘটনাও সামনে এসেছে। আনন্দমিছিল চলাকালীন একটি বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় এক শিশুর। ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এই ঘটনায় কাউকে রেয়াত করা হবে না, কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই উপনির্বাচনের ফল ফের একবার প্রমাণ করল যে, তৃণমূল এখনো রাজ্যের ভোট রাজনীতিতে অন্যতম শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। অন্যদিকে, বিরোধী শিবিরে ভাঙন না থামলে রাজ্য রাজনীতিতে তাঁদের পুনরুদ্ধার কঠিনই হতে পারে।