কসবা ল’ কলেজে ঘটে যাওয়া চাঞ্চল্যকর ঘটনার পর দিনই ফোন করেছিলেন মনোজিৎ! এবার সেই ফোনকল ঘিরেই তৈরি হল নতুন ধোঁয়াশা। তদন্তকারী সংস্থার হাতে এসেছে মনোজিতের মোবাইলের কল ডিটেলস রেকর্ড (CDR)। আর সেখানেই মিলেছে একাধিক সন্দেহজনক নম্বর— যার একটির সঙ্গে ঘটনার পরপরই বেশ কয়েক বার কথোপকথনের প্রমাণ মিলেছে।
সূত্রের দাবি, ওই নম্বরটি এক প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বা প্রশাসনিক যোগাযোগযুক্ত কারও হতে পারে বলেই প্রাথমিক অনুমান। কলটি হয়েছিল ঠিক সেই সময়, যখন ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।
তদন্তকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “কল ডিটেলসে এমন কিছু নম্বর আছে যেগুলি আগেই নজরে ছিল। মনোজিৎ এই নম্বরগুলিতে যে সময় ফোন করেছেন, তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। সম্ভবত, নির্দেশ বা পরামর্শ নেওয়ার জন্যই ওই যোগাযোগ।”
সিসিটিভি ফুটেজ ডিলিট, নির্যাতিতাকে সাহায্য না করা, কলেজের পক্ষ থেকে পুলিশকে না জানানো— সব কিছুর পিছনে এই কলগুলির ভূমিকা থাকতে পারে বলেই ধারণা তদন্তকারীদের।
এই মুহূর্তে ওই নম্বরগুলির টাওয়ার লোকেশন, কলের সময়কাল, এবং কথোপকথনের ধরন বিশ্লেষণ করে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে মনোজিৎ-সহ সেই অপর প্রান্তের ব্যক্তিকেও জেরা করতে পারে পুলিশ।
তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই স্পষ্ট হচ্ছে— এ শুধু একটি বিচ্ছিন্ন অপরাধ নয়, এর পিছনে রয়েছে এক প্রভাবশালী চক্র, যারা চুপিসারে সব সামাল দেওয়ার ছক কষছিল!