সোমবার ফুরফুরা শরীফে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। ফুরফুরা শরীফের পীরজাদাদের সঙ্গে ইফতার করবেন তিনি। সূত্রের খবর, ফুরফুরা শরীফের মুসাফির খানায় হবে অনুষ্ঠান। ইতিমধ্যেই ফুরফুরা শরীফের ৭৫ জন পীরজাদাকে আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছে। মহকুমা শাসক দফতর আমন্ত্রণ পত্র পাঠিয়েছে। আমন্ত্রণ পত্র পেয়ে খুশি পীরজাদারা। ফুরফুরা শরীফের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি আমন্ত্রণ পত্র পেয়েছেন। জোর কদমে চলছে প্রস্তুতির কাজ। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ফুরফুরা যাওয়া নিয়ে খুশি বিভিন্ন পীরজাদা থেকে বিশিষ্ট জনরা।
তবে তিনি অনুষ্ঠানে যাবেন কি না সে বিষয়ে সরাসরি কিছু বলেননি। তবে নওশাদ জানান, “পশ্চিমবাংলায় হিন্দু ও মুসলিমকে নিয়ে চর্চা হচ্ছে। আমি আশা করব, যেভাবে রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্ন হচ্ছে। তাতে আমি আশা করব আগামী কাল মুখ্যমন্ত্রীর সাথে আলোচনায় সেই বার্তা পাওয়া যাবে।”
অন্যদিকে, আমন্ত্রণপত্র পেয়ে খুশি ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা ও বিশিষ্টজনরা। ফুরফুরা শরীফে এই প্রথম যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির একটা বাতাবরণ তৈরি হবে সমস্ত ধর্মের মানুষের কাছে। এমনটা বলছেন তৃণমূল সমর্থকরা। যদিও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করছেন, মুসলিম ভোটের কোনও সমঝোতার জন্যই মমতার ফুরফুরা সফর।
ফুরফুরা যাচ্ছেন মমতা। মুসলিম ভোটের সমঝোতা? নাকি শুধুই ইফতার? চর্চা তুঙ্গে
