বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতা ‘মিস ওয়ার্ল্ড ২০২৫’-এ অংশ নেওয়ার জন্য ভারতে এসেছিলেন মিস ইংল্যান্ড মিলা ম্যাজি। কিন্তু প্রতিযোগিতা চলাকালীন একাধিক অভিযোগ তুলে মাঝপথেই সরে দাঁড়ালেন এই ২৪ বছর বয়সী প্রতিযোগী।
মিস ইংল্যান্ড মিলা ম্যাজি অভিযোগ করেছেন, তাকে ‘পণ্য’ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি বলেন, “আমাদের সকাল থেকে রাত অবধি বলগাউন পরে থাকতে বাধ্য করা হয়েছিল—even খাবার খাওয়ার সময়েও। আমাদের মধ্যবয়সী ব্যবসায়ীদের সাথে সামাজিকভাবে মেলামেশা করতে বলা হয়েছিল, যেন তাদের আর্থিক সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি নিজেকে যেন এক ‘পারফর্মিং মানকি’ বা ‘পণ্যের মতো’ মনে করছিলাম।”
মিলা আরও অভিযোগ করেন, আয়োজকরা প্রতিযোগীদের প্রতি অসম্মানজনক আচরণ করছিলেন। কারো মনোযোগ পাওয়ার জন্য তাদের মুখের সামনে হাততালি দেওয়া হচ্ছিল—যেটিকে তিনি অত্যন্ত অপমানজনক বলে আখ্যা দেন।
তবে মিস ওয়ার্ল্ড সংগঠন তার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মিলা ম্যাজির অভিযোগ “সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং বাস্তবতার সঙ্গে মিল নেই।” তারা মিলা ম্যাজির প্রতিযোগিতা ছাড়ার কারণ হিসেবে তার মায়ের অসুস্থতার কথা উল্লেখ করেছে।
এদিকে, তেলেঙ্গানা সরকারের পক্ষ থেকেও তার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জয়েশ রঞ্জন বলেন, “মিলার অভিযোগ ভিত্তিহীন ও অতিরঞ্জিত।” তিনি জানান, প্রতিযোগিতার একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, মিলা এক পুরুষ ও চার নারীর সঙ্গে বসেছিলেন—যার মধ্যে একজন ছিলেন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও তার পরিবার।
তবে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের রাজনীতিবিদ কেটি রামা রাও মিলা ম্যাজিকে সমর্থন জানিয়ে বলেন, “এ ধরনের ঘটনা ভারতের বা তেলেঙ্গানার সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করে না।” তিনি ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করেছেন।
মিলা ম্যাজির জায়গায় এখন মিস লিভারপুল শার্লট গ্রান্ট ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করবেন মিস ওয়ার্ল্ড ২০২৫ প্রতিযোগিতায়।
এই ঘটনার জেরে সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা নিয়ে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে—বিশেষ করে নারী প্রতিযোগীদের প্রতি সম্মান ও আচরণ নিয়ে।