এক সাধু যাচ্ছেন গাড়িতে। আর এক সাধুর শিষ্য নেই। বৈষম্যের স্পষ্ট রূপ যেন দেখা গেল কুম্ভ মেলার পথে। বিদেশি ব্র্যান্ডের গাড়িতে কুম্ভ মেলার পথে এক সাধু। আরেকদিকে একাই ছাওনিতে বসে আছেন আরেক সাধু।
ইতিহাস বলে দানবদের ফাঁকি দিয়ে দেবতারা যখন অমৃত নিয়ে পালাচ্ছেন, তখন ইন্দ্রের পুত্র চার জায়গায় অমৃতের হাড়ি নামিয়ে রেখেছিলেন। সেই থেকেই উজ্জয়নী নাসিক প্রয়াগ এবং হরিদ্বারে মহা কুম্ভ পালিত হয়। অর্থাৎ বুঝতে পারছেন, বৈষম্য সেই সময়ও।

সনাতনী হিন্দুদের সংগঠিত করার জন্যই এই মহা কুম্ভ মেলা বা মাঘমেলার আয়োজন করা হয়। তবে আজকের মেলায় প্রচুর করপোটারাইজেশন হয়েছে। আগে অবশ্য এই কুম্ভ মেলায় বাণিজ্যিক লেনদেন করা হতো। সাধু সন্ন্যাসীরা অংশ নিতেন সেই ব্যবসা-বাণিজ্যে। তবে এবারের প্রয়াগরাজের কুম্ভ মেলা একটু বেশি কর্পোরেট ছোঁয়া পেয়েছে। উত্তরপ্রদেশ সরকার বিজ্ঞাপন দিচ্ছে ডিজিটাল কুম্ভের। ডিজিটালাইজেশন তো হবে, তরতরিয়ে সাড়া দেবে প্রযুক্তি। কিন্তু পুরনো সেই ভক্ত আর পুরনো ভক্তির মেলবন্ধন হবে তো?