পুনেতে সেতু ভেঙে মৃত্যুমিছিল, রাজ্যজুড়ে অডিটের নির্দেশ একনাথ শিন্ডের

পুনের কাছাকাছি ইন্দোরি গ্রামে নদীর উপর থাকা একটি পুরনো সেতু হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ার ঘটনায় শোকস্তব্ধ মহারাষ্ট্র। রবিবার বিকেলে পর্যটকে ঠাসা সেতুটি হঠাৎ করেই ভেঙে পড়ে নদীর জলে, যার জেরে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে দু’জনের। আহত অন্তত তেরো, যাঁদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে স্থানীয় হাসপাতালে। অনেককেই উদ্ধার করা গেলেও এখনও কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ, দমকল ও এনডিআরএফ। উদ্ধারকাজ শুরু হয় যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। ব্যবহার করা হচ্ছে ক্রেন, নৌকা ও আলো।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সেতুটি দীর্ঘদিন ধরেই জরাজীর্ণ অবস্থায় ছিল। বর্ষার মরসুমে নদীর জলস্রোত বেড়ে যাওয়ায় আরও দুর্বল হয়ে পড়ে কাঠামোটি। এমন সময়েই পর্যটকদের ভিড় জমে ছিল সেখানে। সেই সময়ই আচমকা ধসে পড়ে ব্রিজটি। মুহূর্তে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। অনেকে নদীর জলে পড়ে যান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনাটি ঘটে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে।এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার খবর পেয়ে অবিলম্বে তৎপর হন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। তিনি রাজ্যের সমস্ত নদীর উপর নির্মিত পুরনো ব্রিজগুলির অবস্থা পর্যালোচনা করার নির্দেশ দেন। জানান, যেসব সেতু বিপজ্জনক অবস্থায় আছে, সেগুলির স্ট্রাকচারাল অডিট অবিলম্বে করাতে হবে। একইসঙ্গে, তিনি বলেন, এই দুর্ঘটনার দায় কেউ এড়াতে পারবে না। ইতিমধ্যেই ওই এলাকায় একটি নতুন ব্রিজ নির্মাণের বরাত দেওয়া হয়েছে, কিন্তু তার আগেই ঘটে গেল এই দুর্ঘটনা।ঘটনাস্থলে যান রাজ্যের জলসম্পদ মন্ত্রী গিরিশ মহাজনও। তিনি জানান, উদ্ধারকাজ এখনও চলছে এবং সমস্ত সরকারি সংস্থা একসঙ্গে কাজ করছে। সরকার মৃতদের পরিবারের পাশে আছে এবং সমস্ত সাহায্য করা হবে বলে আশ্বাসও দেন তিনি।এই ঘটনার জেরে গোটা মহারাষ্ট্রে সেতুর নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। সাধারণ মানুষও এই মুহূর্তে আতঙ্কিত। বর্ষা শুরু হতেই এই ধরনের দুর্বল কাঠামো যে প্রাণনাশের কারণ হতে পারে, তা আবারও প্রমাণিত হল। প্রশাসন যদিও সমস্ত ঘটনার তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।