‘বাংলাতেও সাহস দেখাক বিজেপি!’ মহারাষ্ট্রে একসঙ্গে রাজ-উদ্ধব, তোপে বাংলা-উদাহরণ

Spread the love

রাজনীতি মানে শুধু জোট নয়, বার্তা দেওয়ার কৌশলও। আর সেই বার্তায় এবার উঠে এল পশ্চিমবঙ্গ! মহারাষ্ট্রে বহুদিনের রেষারেষি ভুলে অবশেষে একমঞ্চে রাজ ঠাকরে এবং উদ্ধব ঠাকরে। দুই শিবসেনার দুই নেতা এবার ‘একসুরে’ বিজেপির বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন—আর সেখানেই হঠাৎ করে উঠল বাংলার নাম।‘মহারাষ্ট্রে বিজেপি আমাদের ভাঙার চেষ্টা করেছে। এখন আবার এক হচ্ছি। যদি সাহস থাকে, বাংলাতেও গিয়ে করে দেখাক!’, বলেন রাজ ঠাকরে। মুখে ব্যঙ্গ, গলায় তীব্র চ্যালেঞ্জ। এক মঞ্চে দাঁড়িয়ে উদ্ধব ঠাকরেও সুর মেলান—‘বিজেপির রাজনীতির চরিত্র আজ সবাই জেনে গিয়েছে। দেশের মানুষ কী চাইছেন, সেটা ২০২৪-এ বুঝে গিয়েছে বিজেপি। এবার মহারাষ্ট্র বুঝবে।’কিন্তু হঠাৎ করে পশ্চিমবঙ্গের নাম কেন? রাজনৈতিক মহল বলছে, বিজেপিকে ব্যাকফুটে ঠেলার এটা একটা ‘স্ট্র্যাটেজিক রেফারেন্স’। যেখানে বাংলা মানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিরোধ। বিজেপি যেভাবে বাংলা দখলের চেষ্টা করেও বিফল হয়েছে, সেই পরিণতির হুমকি দিতেই রাজ ঠাকরের এই মন্তব্য। বাংলার মাটি কীভাবে দিল্লির শাসকের হাত ধরে যেতে দেয় না, সেই উদাহরণ টেনে এনে যেন মহারাষ্ট্রের মাটি নিয়েও বার্তা দিলেন ঠাকরে-দ্বয়।শুধু মহারাষ্ট্রে নয়, আগামী দিনে জাতীয় রাজনীতিতে এই ‘বঙ্গ রেফারেন্স’ আরও গুরুত্ব পেতে চলেছে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। একদিকে জোটের রাজনীতি, অন্যদিকে একসময় বিজেপির সঙ্গী থাকা দুই শক্তির এক হওয়া—সব মিলিয়ে বিজেপির সামনে এক কঠিন সমীকরণ তৈরি করছে এই পুনর্মিলন।অন্যদিকে বিজেপি শিবিরে এই মন্তব্য নিয়ে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া না এলেও, চাপ যে বাড়ছে তা অস্বীকার করছেন না মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। আগামী ভোটের ময়দানে এই ‘বাংলা প্রসঙ্গ’ কতটা কার্যকর হয়, এখন তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।


Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *