শঙ্কু সাঁতরা: বিধানসভা উপনির্বাচন বুঝিয়ে দিল, দুর্নীতি থেকে দ্রোহকালের আঁচ পড়েনি তৃণমূলের ঘাড়ে। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের জামানত বাজেয়াপ্ত সিতাই এবং হাড়োয়ায়। কী কারণে ৭৭ থেকে ৬৬-তে নেমে গেল বিজেপি?
যার হাত ধরে বিজেপি ৭৭ আসনে পৌঁছেছিল, সেই দিলীপ ঘোষ যদিও আশাবাদী। দিলীপের কথায়, ‘বিরোধীরা ৮০%-৯০% ভোট পেয়েছে, এমন কখনওই হয়নি। কারণ সবটাই সন্ত্রাসের রাজনীতি। উপনির্বাচনে সরকারি পক্ষের দলই সুবিধা করে নেয়। ২০২৬ -এ হারানো আসন পুনরুদ্ধার হবে।’
পাল্টা ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নিশানায় এনেছেন। অর্জুন বলেছেন, ‘রাজ্যের স্টেট অবজার্ভার দীর্ঘ ৬ বছর পদাসীন। উপনির্বাচন কেন্দ্রগুলিতে সেই অঞ্চলেরই প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসারেরা ভোটার, তারাই ভোট করিয়েছেন।’ নির্বাচন কমিশন ইস্যুতে অর্জুনকে সমর্থন দিলীপের।
বিজেপি ব্যাকফুটে চলে গেলেও দিলীপ ঘোষ আশাবাদী। রাজনৈতিক মহল বলছে, বঙ্গ বিজেপির লাইন-আপে সমস্যা রয়েছে। যে কারণে ধুঁকছে সংগঠন, ভোটবাক্স ক্রমশই সঙ্গ ছাড়ছে গেরুয়া শিবিরের।