মাত্র পঁচিশ মিনিটের অভিযান। এভাবেও জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া যায়। মঙ্গলবার মাঝরাতে সেটা করে দেখালো ভারতীয় সেনা। নেপথ্যে তিন সেনাবাহিনীর ত্রিফলা আক্রমণ। পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং পাকিস্তানের ভূখণ্ড মিলিয়ে মোট নয়টি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারত। একেই বলে সিঁদুরের বদল অপারেশন সিঁদুর। ভ্রুনাক্ষরেও কিচ্ছু টের পায়নি পাক সেনা। বা যাদের উপর পাকিস্তান সব থেকে বেশি খরচ করে, সেইসব জঙ্গি সংগঠনগুলো। এই অপারেশন সফল হওয়ার পিছনে ভারতীয় সেনার তিন বাহিনী। ভারতীয় সেনা, ভারতের বায়ুসেনা এবং নৌসেনা।
- ভারতীয় সেনা।
ভারতীয় সেনার ইন্টেলিজেন্স ক্রমাগত নজর রেখেছিল লাইন অফ কন্ট্রোলে।
এই অপারেশন সিঁদুরে কামিকাজে ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল। সেগুলোতেও নজরদারি ছিল ভারতীয় সেনার।
অপারেশন সিঁদুর সফল হওয়ার পর সীমানার ওপাড় থেকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করা হয়েছে। গোলা গুলি চালিয়েছে পাকিস্তান। তার যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা। - ভারতের নৌসেনা।
ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে ড্রোন পাঠাতে সাহায্য করেছে।
জলপথে কোনও হামলা হচ্ছে কি না, তার জন্য সজাগ থেকে আরব সাগরে নজরদারি চালিয়েছে।
ইন্টেলিজেন্স, সার্ভিলেন্স দিয়ে অপারেশন সিঁদুরকে সফল করে তুলেছে। - ভারতের বায়ুসেনা।
অপারেশন সিঁদুরের নেতৃত্বে ছিল বায়ুসেনা।
রাফাল ফাইটার জেট, স্ক্যাল্প ক্রুজ মিসাইল এবং হ্যামার বম্ব ছুঁড়ে, জঙ্গি ঘাঁটি টার্গেট করে, বিস্ফোরণ করিয়েছে বায়ুসেনা।
এর জন্য মিরাজ – ২০০০ এবং সুখোই থার্টি এমকেআই যুদ্ধবিমান ব্যবহার করেছে বায়ুসেনা।
পালটা হামলা হলে, প্রতিরোধ করার জন্য যুদ্ধবিমান মহড়া চলেছে মঙ্গলবার সারারাত।
অপারেশন সিঁদুর। ভারতের ত্রিফলা শক্তির প্রত্যাঘাত।