ধিকি ধিকি উত্তেজনার আগুন জ্বলছে মুর্শিদাবাদে। বাহিনী নামলেও আগুনের আঁচ যেন কমেনি। ভেতরে ভে পকেট ফায়ার রয়ে গিয়েছে। ওয়াকফ বিলের প্রতিবাদে রাজ্যের জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভ-প্রতিবাদ চলছে। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি মুর্শিদাবাদে। ধূলিয়ান, সুতি, জঙ্গিপুর সহ একাধিক জায়গা জ্বলছে অশান্তির আগুনে। পুড়েছে পুলিশের গাড়ি। ভাঙা হয়েছে রেল গেট। কলকাতা হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানোর নির্দেশও দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মুর্শিদাবাদে যান রাজ্য পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা। আধিকারিকদের তালিকায় এডিজি সিদ্ধিনাথ গুপ্তা সহ অনেকেই। উপস্থিত আছেন বিনীত গোয়েল। রাতে টহল দেয় পুলিশ। ওয়াকফ বিলের বিরোধিতায় গত ৮ ই এপ্রিল থেকে একাধিক জায়গায় বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেছে মুর্শিদাবাদের সুতি থেকে সামশেরগঞ্জে। দিকে দিকে অশান্তির ঘটনা ঘটে শুক্রবারও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মোতায়েন করা হয় বিএসএফ। এলাকায় এলাকায় টহলদারি পুলিশের। অন্যদিকে হাইকোর্টের নির্দেশে সামশেরগঞ্জ এবং সুতিতে নেমেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
এই পরিস্থিতিতে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশই প্রমাণ করছে, পুলিশ প্রশাসন এবং সরকার সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ। বিন্দুমাত্র নৈতিকতা থাকলে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। আন্দোলনকারীদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের মধ্যে তৃণমূল পরিকল্পিতভাবে কিছু দুর্বৃত্ত ঢুকিয়ে পরিবেশকে বিষাক্ত করে তুলছে।
মুর্শিদাবাদে কেন্দ্রীয় বাহিনী, পুলিশি টহল। তৃণমূলের ষড়যন্ত্র দেখছেন অধীর চৌধুরী
