বেলা তখন প্রায় তিনটে। কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈশরণ ভ্যালিতে পর্যটকদের ভিড়। পর্যটকদের দাবি, এরই মাঝে সেনার পোশাকে ঢুকে পড়েন অনেকজন। অনেকে ভেবেছিলেন, সেনা বাহিনীর মহড়া চলছে। এরপরই পর্যটকদের জিজ্ঞেস করা হয়, নাম পরিচয়। তা শুনেই সংখ্যাগুরু পর্যটকদের বেছে বেছে হামলার অভিযোগ। গুলি চালানোর অভিযোগ। প্রায় ৫০ রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে বলে দাবি। এরপরই মৃতদেহের সারি ছড়িয়ে পড়ে মিনি সুইজারল্যান্ডে। এরপরই সেনা এবং জম্মু পুলিশ ঘিরে ফেলে পহেলগাঁও। তবুও ঘটনার ৯ ঘণ্টা পরও কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। ইতিমধ্যে নানা মিডিয়ার দাবি, পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন লস্কর ই তইবার শাখা টিএসএফ এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে স্বীকার করেছে লস্কর সংগঠন। বিভিন্ন সূত্রের দাবি, ঘটনার পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দ্রুত কাশ্মীরের উদ্দেশ্যে রওনা হন অমিত শাহ। বিদেশ মন্ত্রী জয়শংকরকে পাশে নিয়ে বৈঠক সারেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, আরব এমিরেটসের সফর শেষ করে মঙ্গলবার রাতেই দেশে ফিরছেন মোদী। তিনি জানিয়েছেন, উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছেন। জঙ্গি হামলার নিন্দা করেছেন। ট্রাম্প জানিয়েছেন, “आतंक के खिलाफ भारत के साथ।” অর্থাৎ আতঙ্কের বিরুদ্ধে ভারতের সঙ্গে।
আবার রক্ত ছিঁটল কাশ্মীরে! কী পদক্ষেপ ভারত সরকারের?
