একটি প্রাচীন প্রবাদ আছে মাছে ভাতে বাঙালি। তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সংসদে দাঁড়িয়ে সেই প্রবাদই মনে করালেন। তার বক্তব্য কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী মৎস্যজীবীদের জন্য যে প্রকল্প ঘোষণা করেছেন তাতে বাংলার বরাদ্দ বাড়ানো উচিত।
কিছুদিন আগেই তৃণমূল সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা দেশজুড়ে নিরামিষ চালুর দাবি করে এক বিরাট বিতর্ক তৈরি করেছেন। তিনি বলেন, “দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গোমাংস নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আমি মনে করি, শুধুমাত্র গো মাংস নয় ,দেশে সম্পূর্ণভাবে আমিষ খাবার নিষিদ্ধ করা উচিত।”
পরে নিজের ভুল বুঝতে পেরে শত্রুঘ্ন সিনহা যুক্তি দেন, “আমার দল তৃণমূল কংগ্রেস কখনোই মানুষের খাদ্যাভাস ,ধর্মাচরণ এবং ব্যক্তিগত সম্পর্কের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টিকারী কোন আইনকে সমর্থন করে না।”
সাফাই দেওয়ার পরেও বিতর্ক কিন্তু থেমে যায়নি। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সংসদে দাঁড়িয়ে বলেন, “বাংলার কয়েক লক্ষ মানুষের জীবিকা মাছের ওপর নির্ভরশীল। তাছাড়া প্রবাদেই আছে, মাছে ভাতে বাঙালি। বাংলায় কেউ গেলে প্রথমে ইলিশ মাছ, চিংড়ি মাছ দেওয়া হয়। বাংলার মানুষ এত মাছ খায়, যে পরিমাণ মাছ চাষ হয় তাতে হয় না। আমার প্রশ্ন তাহলে বাংলার মৎস্যজীবীদের জন্য এত কম বরাদ্দ কেন?”
কেন্দ্রীয় বাজেটে মৎস্যজীবীদের জন্য প্রকল্প ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। সেই প্রকল্পে কেরল , অন্ধ্রপ্রদেশ সহ বিভিন্ন রাজ্যে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ করা হলেও পশ্চিমবঙ্গের জন্য বরাদ্দ হয়েছে নামমাত্র। তারই প্রতিবাদে বাংলার পক্ষে জোরতার প্রশ্ন করেন কল্যান।