নিজস্ব সংবাদদাতা:দক্ষিণ ২৪ পরগনায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র গুলিতে প্রতিদিন কতগুলি শিশুর রান্না হচ্ছে? সেই হিসাব নিকাশ সিডিএপিওর কাছে চলে যায়। ওটা খাতা-কলমের হিসাবে প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে ঠিকই রয়েছে। কিন্তু আসল জায়গায় ঘুঘুর বাসা। অঙ্গনওয়াড়ি দিদিমণিদের দাবি, ৫০ কেজির চালের বস্তাতে ৭ থেকে ১০ কেজি পর্যন্ত চাল কম থাকে। যিনি চাল সরবরাহ করেন, তিনি সঠিক পরিমাণে চাল সরবরাহ করেন না,বলে অভিযোগ।প্রশ্ন এখানে দিদিমনিরা কি বাড়ি থেকে চাল এনে বাচ্চাদের খাওয়ান?
এই নিয়ে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ তো রয়েছে। এই রকম সব থেকে বেশি অভিযোগ রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথর প্রতিমা এবং নামখানা এলাকায়।
অঙ্গনওয়াড়ি প্রকল্প অনুযায়ী, কোন অঙ্গনওয়াড়ি স্কুলের নির্দিষ্ট রান্নাঘর নেই। স্কুল গুলি কারো উঠোনে কারো বারান্দায়। এইরকম ভাবেই চালানো হয়। স্কুল গুলোতে নিয়ম অনুযায়ী ০ থেকে ৩ বছর বয়স পর্যন্ত এবং ৩ বছর থেকে ৬ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুরা ওই খিচুড়ি স্কুলে খায়।
যিনি আইসিডিএস সুপারভাইজার রয়েছেন, তিনি অঙ্গনওয়াড়ি স্কুলগুলোতে পরিদর্শনে যান। তবে পরিদর্শন যে শুধু খাতা-কলমে ,স্কুল গুলির হাল দেখলে কিংবা অঙ্গনওয়াড়ি স্কুলের রান্নাঘরের হাল দেখলে পরিষ্কার বোঝা যায়।
বেশিরভাগ সিডিপিও(Development Protection Officer) কে সময়মতো তার অফিসে পাওয়া যায় না। সিডিপিওর(child Development Protection Officer)অফিসে গেলে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়। তিনি দুটি থেকে তিনটি কেন্দ্রের দায়িত্ব রয়েছে। যার ফলে তিনি কখন কোথায় থাকেন, সম্পূর্ণভাবে বলা সম্ভব নয়।
অন্যদিকে বেশ কিছু অঙ্গনওয়ারী কেন্দ্রের দিদিমণিদের দাবি, ছোট ছোট শিশুদের পুষ্টির জন্য চালের পরিমাণ অনেক কম দেওয়া হয়। সঙ্গে কর্মীদের যে প্রাপ্য সম্মানিক ।সেটাও পর্যন্ত ঠিকঠাক দেওয়া হয় না। শিশুদের মুখের দিকে তাকিয়ে তারা প্রতিদিনই যে রকম শিক্ষাদান করেন ।তার সঙ্গে পুষ্টির জন্য খাবারটাও জোগাড় করেন। পাথর প্রতিমার কয়েকজন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী জানাচ্ছিলেন, তারা পরিমাণ মত চাল পান না। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তা ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সে রকম ভাবে কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি।
আবার একই প্রশ্ন উঠছে। পরিমাণ মত চাল না পেলে ,শিশুরা তাহলে কি খাচ্ছে? তবে অঙ্গন ওয়ারীদের ইঙ্গিত অনুযায়ী ,এর পেছনে বড় চক্র কাজ করে। যার ফলে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা সহজে মুখ খুলতে পারেনা।
সমস্ত বিষয়টি সম্পর্কে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা মৌখিক জানালেও কেউ সরাসরি তাদের নাম প্রকাশে ইচ্ছুক নয়। তাই তথ্য টুকু লেখা গেল।
একটা জিনিস পরিষ্কার সম্ভবত প্রতিদিন খাতায় নিবন্ধি কৃত সমস্ত শিশু খাবার খেতে আসে না। নইলে দুয়ে দুয়ে চার করে হিসাব করা, বড় অসম্ভব।অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের যিনি চাল সরবরাহ করেন।তার বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ জমে রয়েছে। সেটা ম্যানেজ হচ্ছে কিভাবে? প্রশ্ন উঠছে।